কলকাতা: ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সিবিআই (CBI) হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কেমন ফল করতে পারে ঘাসফুল শিবির? আদৌও কী বাড়তি কোনও মাইলেজ পাবে বিরোধীরা? ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরকমই নানা বিষয়ে কথা বলতে দেখা গেল আইনজীবী অরুণাভ ঘোষকে (Lawyer Arunava Ghosh)।
রাজ্যে নানা বিষয়ে ওঠা দুর্নীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অরুণাভকে। তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি বলেন, “মমতা জানতেন না? কাকে ধরবেন? মমতার চারিদিকে থাকা একটা লোকের নাম দাও যাঁর বিরুদ্ধে অসততার চার্জ নেই। কিন্তু করবে টা কী? আমার ছেলে যদি চুরি করে, কটা লোক আছে নিজের ছেলেকে চোর বলবে? আমার বাপ চোর এটাই কজন বলতে পারে। কিন্তু মমতা সব জানে। তবে যদি এ কারণে মমতার পদত্যাগ চাওয়া হয়, তাহলে জ্যোতিবাবুর পদত্যাগ করা উচিত ছিল লক্ষণ শেঠের ব্যাপারে। লক্ষণবাবু চোর মানে জ্যোতিবাবু চোর নন। বুদ্ধদেব বাবুও সৎ। রেজ্জাক মোল্লা তাঁর দলেও তো ছিলেন। কিন্তু, বর্তমান দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা সব জানতেন।”
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কী মাইলেজ পাবে বিরোধীরা? প্রশ্নের উত্তরে অরুণাভ বলেন, “বিরোধিতা করার লোক নেই। সিপিএমের লোকেরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূল জিতবে পঞ্চায়েত ভোটে। তারপর কিছুদিন চলবে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার। আমি বারবার বলেছি টাকা দিয়ে ভোট হবে। ৫০০-১০০০ টাকায় লোক কেনা যায় আজকাল। লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প এসেছে। লোকে তো নিচ্ছে। একশোজনের মধ্যে ২০ জন অন্য কথা ভাবতে পারে, কিন্তু বাকিরা দিনের শেষে ভাববে মাসের শেষে তো আমাকে টাকাটা দেয়, ৬ হাজার টাকা তো বছরে পাচ্ছি। জয়ললিতাও তো জিতেছে ভোটে। লালুপ্রসাদরাও তো জিতেছে। কী করা যাবে।”
অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলনে বিরোধী শিবিরের ভূমিকা নিয়েও আক্ষেপ করতে দেখা যায় তাঁকে। খানিক হতাশার সুরে তিনি বলেন, “আমরা যারা বিরোধী রাজনীতি করি তাঁরাও তো চাকরি প্রার্থীদের কোনও না কোনওভাবে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছি। ধরনা মঞ্চে গিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছি। ২ দিনের মধ্যে যদি মমতা পদত্যাগ করেন আমি ২৭ হাজার চাকরি দিয়ে দেব, একজন বড় আইনজীবী এ কথা বলছেন। এটা কী মিথ্যা কথা নয়?”