AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee: জনরোষ নয়, খগেন মুর্মুর ওপর হামলার নেপথ্যে নতুন তত্ত্ব খাড়া মমতার

Mamata Banerjee On Khagen Murmu: মঙ্গলবার দুধিয়ায় ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখান থেকে তাঁর মিরিক যাওয়ার কথা। তার আগেই পৌঁছে যান খগেন মুর্মুকে দেখতে।  সোমবার নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

Mamata Banerjee: জনরোষ নয়, খগেন মুর্মুর ওপর হামলার নেপথ্যে নতুন তত্ত্ব খাড়া মমতার
খগেন মুর্মুর ওপর হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2025 | 4:27 PM
Share

কলকাতা: নাগরাকাটা বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই ঘটনার নেপথ্যে ইতিমধ্যে জনরোষের তত্ত্ব খাড়া করেছে তৃণমূল। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাড়া করলেন আরও একটি তত্ত্ব। তিনি প্রশ্ন তুললেন, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য নাগরাকাটায় গিয়ে খগেন মুর্মু আহত হননি তো? সোমবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখাও করেন। বুধবার ফিরে এসে কলকাতা বিমানবন্দর দাঁড়িয়ে তিনি একথা বলেন।

বিজেপির উদ্দেশেই মমতা বলেন, “আগে আপনারা দেখুন, আপনাদের দলের ভিতরেই কিছু হয়নি তো? কারণ ওই এলাকা বিজেপির। এমপি-এমএলএ সবই বিজেপির। তদন্ত চলছে।” আগেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি ৩০টা কনভয় নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। মানুষ তা ভালভাবে নেননি। সেই বিষয়টি নিয়ে এদিন আরও একবার বলেন, “উত্তরবঙ্গে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে এখন প্রশাসন কি করবে, উদ্ধারকার্য করবে নাকি, যাঁরা ৪০-৫০ টা গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন, ওদের পিছনে দৌড়বে? কোনটা বেশি জরুরি? যখন কোনও বিপর্যয় হয়, তখন কোনও নেতাকে সেখানে যেতে নেই। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওতো কনভয় নিয়ে যাইনি। কেবল ২-৩টি গাড়ি ছিল। আমিও শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করেছি। আমিও দুর্গতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, ত্রাণ বিলি করেছি।”

প্রসঙ্গত,  মঙ্গলবার দুধিয়ায় ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখান থেকে তাঁর মিরিক যাওয়ার কথা। তার আগেই পৌঁছে যান খগেন মুর্মুকে দেখতে।  সোমবার নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।  বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অতর্কিতে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো নিয়ে চড়াও হন অনেকে। গাড়ির পিছনের সিট থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন খগেন মুর্মু। তখনই অতর্কিতে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইট এসে লাগে তাঁর চোখের নীচে।

মুখ্যমন্ত্রী খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে যান। দেখে বেরিয়ে এসে জানান, সাংসদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর কানের নীচে চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাননি, কারা হামলা চালিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু তারপরই কলকাতায় ফিরে এসে তাঁর আঘাত লাগার কারণ নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব খাড়া করেন।

আগে অবশ্য কুণাল ঘোষ, উদয়ন গুহরা এর পিছনে জনরোষের তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন। তাদের দাবি, ত্রাণ না নিয়ে কেবল ফটোশুট করতে গিয়েছিল বিজেপি। তাতেই ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। তাতে নতুন সংযোজন মুখ্যমন্ত্রীর।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর খগেনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, “কেবল পাঁচ মিনিট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়ে এসেই ভিডিয়োশুট করেছেন। নির্মমতার পরিচয় দিয়েছেন মমতা।” মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপির অন্তর্কলহের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “টালিগঞ্জের বিধায়ক উত্তরবঙ্গে কী করছিলেন? উত্তরবঙ্গের একজন সাংসদ, উত্তরবঙ্গেই কোথাও বিপর্যয় হলে যাবেন না? আর যদি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই হয়ে থাকে, বিজেপিরও কেউ গ্রেফতার হয়েছেন? কোনও দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়েছে? মামলা হয়েছে বিজেপির কারোর বিরুদ্ধে? এফআইআর হয়েছে?”