Messi India Tour: ‘অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর আর কথা হয়নি,’ শেষ মুহূর্তে মেসির অনুষ্ঠানে এসেছিল বদল, পুলিশকে পরে জানাননি শতদ্রু! বিস্ফোরক তথ্য
Messi India Tour: শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই টিমে রয়েছেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার, মুরলীধর শর্মা। পুলিশ কর্তারা বিধানসভার কমিশনারেটেও যান। তারপর তাঁরা যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। গোটা স্টেডিয়ামের ঘুরে দেখান তাঁরা।

কলকাতা: হায়াতে ছিলেন মেসি! কিন্তু তাঁর থাকার কথা ছিল তাজ বেঙ্গলে। পরে অনুষ্ঠানের সূচিতে আসে বদল। জানালেন সিপি মনোজ ভর্মা। যুবভারতীকাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে SIT। শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই টিমে রয়েছেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার, মুরলীধর শর্মা। পুলিশ কর্তারা বিধানসভার কমিশনারেটেও যান। তারপর তাঁরা যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। গোটা স্টেডিয়ামের ঘুরে দেখান তাঁরা।
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এসে মনোজ ভর্মা বলেন, “আমরা সব পয়েন্ট নোট করেছি, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে, আগেও করেছি আরও ভালোভাবে হবে। সারা শহরে প্রস্তুত আছে প্রতিটি থানা থেকে সবাইকে বলা হয়েছে সব কিছু নজর রাখার জন্য।” যুবভারতী বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে আরও একটি নতুন তথ্য উঠে আসে সিপি-র মুখে। তিনি বলেন, ” শতদ্রু দত্ত একবার কথা বলতে এসেছিলেন, তাজ বেঙ্গল মেসির থাকা নিয়ে। কিন্তু অনুষ্ঠান অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পরে আর কথা হয়নি।”
ইতিমধ্যেই শতদ্রু পুলিশের হেফাজতে। প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠছিল, নেতামন্ত্রীদের ভিড় ও আয়োজকদের অদক্ষতার কারণেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল সেদিন স্টেডিয়ামে। মেসি যে হায়াতেই থাকবেন, সেটিই প্রথম থেকে সকলের জানা ছিল। কিন্তু তাঁর যে আগে ‘তাজ বেঙ্গল’-এ থাকার কথা ছিল, পরে পাঁচ তারা হোটেল বদল হওয়ার পর শতদ্রু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ। যদিও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মাঠেই, হোটেলে নয়। তার নেপথ্যে ঠিক কোথায় গাফিলতি, সেটা খতিয়ে দেখছে সিট।
মঙ্গলবারই যুবভারতীকাণ্ডে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করেছে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের কমিটি। ওই কমিটিতে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও। ঘটনার দিন পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, কীভাবে ব্যবস্থাপনা সাজানো হয়েছিল, কীভাবে চলছিল নজরদারি, সেই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে। পুলিশ ও ক্রীড়া দফতরের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এরপরই সিনিয়র পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে সিট গঠন করার কথা ঘোষণা করা হয়।
