কলকাতা: তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পুরনো-নতুনদের লড়াই তুঙ্গে। সোমবার সকাল থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, প্রথম সারির নেতা ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ — একেক জনের একেক মন্তব্যে শোরগোল। প্রবীণ-নবীনের দ্বন্দ্ব টানাপোড়েনে বছরের শুরু থেকেই জেরবার তৃণমূল। ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, নতুন চাল আগে বাড়ে’, বলে দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের জন্য বছরের প্রথম দিনে ‘চাল’ চিত্র খুব একটা স্বস্তিদায়ক হল না। এদিন ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের শরীর যতদিন ঠিক থাকবে, ততদিন আমরা নেতৃত্ব দেব। তারপর যুবরা এগিয়ে আসবে।”
ফিরহাদ হাকিম যখন শরীর ঠিক থাকলে তাঁরাই নেতৃত্ব দেবেন বলছেন, তখন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার অন্য সুর তুললেন। কুণাল ঘোষের কথায়, একাধিক পদ নিয়ে বসে আছেন কয়েকজন নেতা। কিন্তু যাঁরা দলের নেত্রীকে আক্রমণ করছেন, তাঁদের গোল গোল কথা বলছেন। ধারাল প্রতিবাদ থেকে গা বাঁচিয়ে চলছেন।
কুণাল ঘোষের কথায়, “যাঁরা দলটা ভালবাসেন প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছেন। তবে আজকের দিনে কয়েকজন পদাধিকারীকে দেখি, মন্ত্রীকে দেখি যাঁরা সব বিষয়ে সামনের সারিতে থাকেন। তৃণমূলের কিছু তথাকথিত সিনিয়র, কয়েকজন মন্ত্রী একাধিক পদ নিয়ে বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। বিজেপি গালাগাল করার বিষয়ে আমরা ২-৪ জন। ওনারা গোল গোল কথা বলে দায় সারেন। দল থেকে সব পেয়েছেন। যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন তাদের কেন সিনিয়ররা বলবেন না?”