“নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। সেনাবাহিনী কোথায়? আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।” বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিস্ফোরক বাংলাদেশের সনাতনী সমাজের নেতা মিঠুন দে। তাঁর বিরুদ্ধেও চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মতো রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা। বর্তমানে রয়েছে আত্মগোপনে। কিন্তু, সেখান থেকেই নিজের দেশ বাংলাদেশের জন্য কাঁদছে মন। সে কথাই বারেবারে বললেন। সাহায্য প্রার্থনা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। একইসঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে তুলে দিলেন বড়সড় প্রশ্ন।
তাঁর দাবি, এই পরিকল্পনার পিছনে মৌলবাদীরা রয়েছে। মিঠুন বলছেন, “ওদের খুঁজে বের করা সরকারের কাজ। চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার যে অভিযোগ এসেছে সেটা খুবই হাস্যকর। যেটাকে জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে সেটা জুম করে দেখলেই সবটা পরিষ্কার হবে। গোয়েন্দা সংস্থা যখন সেটাকে জুম করে দেখে তখনই বুঝতে পারে যে সেই পতাকার মধ্যে পাকিস্তানের কতগুলি লোগো পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের যে চাঁদ, তারা, সূর্যের যে সিম্বল রয়েছে তা ওই পতাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে যেটাকে জাতীয় পতাকা বলা হচ্ছে সেটা আসলে কী তা তো তদন্ত করে দেখা দরকার।”
একইসঙ্গে মোদীর কাছে সাহায্য়ের প্রার্থনা করে মিঠুন বলছেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করছি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আমরা যাতে আমাদের আন্দোলনকে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি তার জন্য আমাদের পাশে দাঁড়ান। যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে তার সঠিক তদন্তের জন্য আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা আশা করব অতীতের মতো এখনও শ্রীরামের যোদ্ধাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনি আমাদের পাশে থাকবেন।” কিন্তু এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও দেশ ছাড়তে নারাজ তাঁরা। বলছেন, “যদি আমরা বেঁচে থাকতে পারি তাহলে আমাদের আন্দোলন বেগবান হবে। আমরা দেশেই থাকতে চাই। দেশে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ দেশ আমাদের। এ দেশ আমাদের মাতৃভূমি।”