Partha Chatterjee: প্রথমবার বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ঠাঁই পাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চলছে আলোচনা
WB Assembly: নিয়মানুসারে কোনও বিধায়ক গ্রেফতার হলে যে এজেন্সি বা যে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি মিলেছে সংশ্লিষ্ট বিধায়কের, সেই এজেন্সি কিংবা জেল কর্তৃপক্ষকে বিধানসভায় মুক্তির কথা জানাতে হবে। কিন্তু তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া পার্থের ক্ষেত্রে সেটা আটকে ছিল প্রায় এক মাস কেটে গেলেও কেউ বিধানসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।

কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুক্তির কথা জানল বিধানসভা। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল মুক্তির কথা জানতে পারলেন বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। আর এবার ঠিক হবে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ঠাঁই হবে বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই নিয়েই আলোচনায় বসছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর শিক্ষা দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। দীর্ঘ সময় পর ২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর জেল মুক্তি হয় তাঁর। পরের দিন ১১ নভেম্বর বেহালার বাড়িতে ফেরেন পার্থ।
সংবাদমাধ্যমের সেই খবর বিধানসভা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। কিন্তু নিয়মানুসারে কোনও বিধায়ক গ্রেফতার হলে যে এজেন্সি বা যে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি মিলেছে সংশ্লিষ্ট বিধায়কের, সেই এজেন্সি কিংবা জেল কর্তৃপক্ষকে বিধানসভায় মুক্তির কথা জানাতে হবে। কিন্তু তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া পার্থের ক্ষেত্রে সেটা আটকে ছিল প্রায় এক মাস কেটে গেলেও কেউ বিধানসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি।
অবশেষে দিনকয়েক আগে সেই মুক্তির কথা জানিয়ে বিধানসভায় চিঠি পাঠিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই পার্থকে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য করা হবে, তা নিয়ে আলোচনায় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।
মন্ত্রী বাদে সব বিধায়করা বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন। সাধারণত, প্রত্যেক বিধায়ক দুটি করে কমিটির সদস্য হন। তবে ২০১১ সাল থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন এই হেভিওয়েট রাজনীতিক। তাই তিনি তৃণমূল জমানাতেও কোনও কমিটিতে ছিলেন না। সেই হিসেবে, এই প্রথম স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ঠাঁই পাবেন পার্থ। এখন দেখার, পার্থ কোন কমিটির সদস্য হন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়া নিয়ে আগ্রহ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কবে অধিবেশন জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন পার্থ। এরই মধ্যে আবার বাড়ির শৌচালয়ে পড়ে গিয়ে হাতে চোট পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাঁ হাতের হাড়ে চিড় ধরেছে। দু-একদিনের মধ্যে অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে। এখন মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী।
