কলকাতা: মইদুল ইসলাম মিদ্যার (Maidul Islam Midya) কিডনি ফেলিওরের কোনও প্রমাণ মেলেনি। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের (Post Mortem) রিপোর্টে জানাল তদন্তকারী বোর্ড। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মইদুলের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাঁর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কোনও অভ্যন্তরীণ অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আগে থেকেই খারাপ ছিল বলে দায়ী করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট-এ। তার জন্য মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মীর হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা হবে। এতে বোঝা যাবে শরীরের কোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আগে থেকেই খারাপ ছিল তাঁর। কিডনি, লিভার ও হার্ট পাঠানো হচ্ছে ভিসেরা পরীক্ষায়। তারপরেই চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে ময়নাতদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানে গিয়ে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম পুলিশের লাঠির ঘায়ে তিনি আহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গত চারদিন ধরে হাসপাতালের বেডে লড়ে সোমবার মৃত্যু হয় ডিওয়াইএফআই কর্মীর। জানা গিয়েছিল, কিডনি ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়। সিপিএম নেতা ও চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম দাবি করেন, ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হয় মইদুলের। এই মৃত্যুর ঘটনায় বাম ও কংগ্রেস একত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাদের অভিযোগকে মান্যতা দেয়নি। মইদুলের আর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল কিনা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হবে। তার জন্য ভিসেরা ও হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: মইদুলের পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস মমতার, সঙ্গে তুললেন প্রশ্নও
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বামেরা। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ময়নাতদন্ত হতে কেন এত দেরি হল তা সকলেই বুঝে গিয়েছেন। একজন যুবককে কার্যত খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
এদিকে মইদুলের মরদেহ তাঁর কোতুলপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে ডিওয়াইএফআই ভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যার জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এজেসি বোস রোড। মইদুলকে মাল্যদান করে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন: রাজনীতিক ছিলেন মইদুল? মিলছে না স্ত্রী ও বোনের জবান