AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পার্টি সেরে ফেরার পথে গাড়ি পিষে দিল তরুণীকে, আহত সঙ্গী তরুণ

শীতের কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে রাতের পথদুর্ঘটনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। সোমবার রাতের ঘটনায় তেমন কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে হেস্টিংস থানার পুলিস। 

পার্টি সেরে ফেরার পথে গাড়ি পিষে দিল তরুণীকে, আহত সঙ্গী তরুণ
দুর্ঘটনায় নিহত তরুণী।
| Updated on: Dec 16, 2020 | 11:56 AM
Share

কলকাতা: পার্টি সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা। এক তরুণীকে পিষে দিল গাড়ি। মঙ্গলবার রাতে হেস্টিংসের ফার লং গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ওই তরুণীর সঙ্গে এক তরুণও ছিলেন। তিনিও হালকা চোট পান। ঘাতক গাড়িটি পলাতক।

হেস্টিংস থানা সূত্রে খবর, ২১ বছর বয়সি ঋত্বিকা মজুমদার এয়ার হোস্টেস। বেলুড় এলবিএস রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ধর্মতলা যান। তাঁর সঙ্গে এক তরুণও ছিলেন। তিনিও হাওড়ারই বাসিন্দা। দু’জনে প্রথমে কেনাকাটা করেন। তারপর পার্টিতে ঢোকেন। পার্টি সেরে স্কুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা। ফার লং গেটের কাছে হঠাৎই স্কুটির চাকা পিছলে যায়। উল্টে পড়ে যান দু’জনই।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্কুটি।

রাস্তার বাঁ দিকে পড়েন তরুণ। ডানদিকে পড়ে যান ঋত্বিকা। সে সময় পিছন থেকে আসা একটি গাড়ি ধাক্কা মারে তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সঙ্গী তরুণের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায় ঘাতক গাড়িটিকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে আশেপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত এগোতে পারে পুলিসের।

সম্প্রতি পার্টি সেরে ফেরার পথে গরফা থানা এলাকায় এক পথচারিকে পিষে দেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। অভিযোগ, মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বন্ধু। বাইপাসে ওঠার মুখে তাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লাইটপোস্টে ধাক্কা মারে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিস অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতারও করে।

শীতের কলকাতায় ক্রমেই বাড়ছে রাতের পথদুর্ঘটনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। সোমবার রাতের ঘটনায় তেমন কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে হেস্টিংস থানার পুলিস।