কলকাতা: বনরক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, ফরেস্ট গার্ডের ১৬০০ পদে এবং হেড ফরেস্ট গার্ডের ১৯২টি পদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এতদিন বনরক্ষীদের নিয়োগ হল পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে। কিন্তু এখন থেকে এই নিয়োগ হবে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিসেস রিক্রুটমেন্ট অব ফরেস্ট গার্ড অ্যান্ড হেড ফরেস্ট গার্ড রুলস ২০২৪-এর মাধ্যমে বনরক্ষী নিয়োগের রীতিতে এই বদল আনা হয়েছে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রীতি পরিবর্তনের রুল পাশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বনরক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের উচ্চতা ও ছাতির মাপেও ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে উচ্চতা ও ছাতির মাপের ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত যে মাপকাঠি ছিল, সেটা শিথিল করা হয়েছে। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ছাতির মাপের মাপকাঠি ছিল ৮৪ সেন্টিমিটার এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে মাপকাঠি ছিল ৭৯ সেন্টিমিটার। উভয় ক্ষেত্রেই ছাতির মাপে ৫ সেন্টিমিটার করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের রাজবংশী, গোর্খা ও গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে তফসিলি উপজাতির চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে এতদিন উচ্চতার মাপকাঠি ছিল ১৫২ সেন্টিমিটার। এখন সেটা কমিয়ে করা হয়েছে ১৫২ সেন্টিমিটার। অরণ্য লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই জলদাপাড়ার হলং বনবাংলোতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলো পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ বন্ধ ছিল। প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে হলং বাংলোয় যেভাবে আগুন লেগেছিল, তারপর বন দফতরের অধীন সরকারি বাংলোগুলির কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে বনরক্ষী নিয়োগ জরুরি। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।