কলকাতা: নিজেদের জমি দখলমুক্ত করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম দীপককুমার নিগম দখল হয়ে যাওয়া জমি দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এমনকি শিয়ালদহ ডিভিশনের কর্তারা বিশেষ ইন্সপেকশন ট্রেনে দখল হওয়া জমি দেখতে গেলে মাঝপথ থেকে তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বর্ধমান শাখার বিস্তীর্ণ অংশে লাইনের দুপাশে ফেন্সিং করে দেওয়া হয়েছে। মূলত ট্রেনের গতিপথ বাড়াতে, দুধার দিয়ে রেললাইনের মধ্যে আচমকা গাড়ি ঢুকে পড়া থেকে আটকাতেই গোটা শিয়ালদা ডিভিশন জুড়ে ফেন্সিং দিতে চাইছেন রেল কর্তারা। কল্যাণী, শান্তিপুর বা নৈহাটি, বিভিন্ন অংশে গত কয়েক সপ্তাহে বারবার লাইনের উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ইন্সপেকশন ট্রেন কারকে।
শিয়ালদহ ডিভিশনের একাধিক অংশে জমি উদ্ধার সম্ভব না হলে কেন নতুন লাইন পাতা অথবা রেলের অন্যান্য কাজ সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় শিয়ালদহ ডিভিশন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ এবং রাজনৈতিক সাহায্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন বলেই চিঠিতে উল্লেখ করা হবে।
সম্প্রতি লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রীতিমতো তথ্য দিয়ে দেখিয়েছিলেন, এরাজ্যের রেলের অগ্রগতি কেন স্তব্ধ। কোথায় কোথায় কত জমি চেয়েও মিলছে না।
দখল হয়ে যাওয়া রেলের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে মিলছে না পুলিশের সাহায্য।
শিয়ালদহ ডিভিশনের কর্তাদের কথায়, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিন নতুন কোন প্রকল্প রাজ্যের ভাগ্যে জুটবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এ প্রসঙ্গে শিয়ালদহ রেল ডিভিশনের সিনিয়র ডিপিও একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “রেলের কর্মীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে, কারা আটকাচ্ছে, যাদের সিকিউরিটির জন্য এই কাজ করানো হচ্ছে। কারণ ওইসব এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে কিছু রান ওভারের ঘটনা ঘটছিল। এই কাজ অনেক জায়গাতেই চলছি। লোকাল পুলিশকেও জানানো হচ্ছে।”
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “এগুলো বেকারের কথাবার্তা। প্রচুর জায়গায় রেল তুলে দিচ্ছে। এই তো সেদিন রামপুরহাটে তুলে দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে পলিটিক্যাল কথাবার্তা। গরিব মানুষকে আমরা সবসময় সহযোগিতা করি। রাতারাতি তুলে দিলে, শীতের মধ্যে যাবে কোথায়?”