কলকাতা: বিষ স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও তিনজন। তীব্র চাপানউতোর গোটা রাজ্যে। ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। চাপানউতোরের মধ্যেই এবার স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তুললেন ক্ষতিপূরণ থেকে সরকারি চাকরির দাবিও। এদিকে শুভেন্দু স্বাস্থ্য ভবনের কাছাকাছি যেতেই শুরুতেই বচসায় জড়াতে দেখা যায় পুলিশকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুভেন্দু-সহ তাঁর অনুগামীরা।
এরইমধ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, সিআইডি তদন্ত করছে আসলে প্রমাণ নষ্টের জন্য। টানেন আরজি করের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “বিধানসভা বন্ধ, তাই বলার জায়গা নেই। জনস্বার্থেই স্বাস্থ্য ভবনে এসেছিলাম। স্পেশ্যাল সেক্রেটারিরর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ চেয়ারের উপরে অভিযোগ উঠেছে। এখন সিআইডি তদন্ত করছে আরজি করের মতো। আসলে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য সিআইডি-কে পাঠানো হয়েছে।”
একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, সিআইডি তদন্ত চলতে পারে। কিন্তু সিবিআই-কে নিয়ে তৈরি করতে হবে সিট। তাঁর সংযোজন, “আমরা স্পেশ্যাল সেক্রেটারিকে বলেছি, ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটির প্রতিনিধি, রাজ্যের প্রতিনিধি রাখতে হবে। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন চিফ জাস্টিসকে লিখতে। যাতে তাঁরা একটা বিচারপতি দেন। আর সিআইডি যদি থাকে তাহলে সিবিআই যাতে তাঁদের অফিসার দেয় সেটাও লেখার কথা বলেছি। সিট তৈরি হোক। এদের সকলকে নিয়ে সিট তৈরি হোক। পুরোটার নেতৃত্ব দিক একজন বিচারপতি।” কাঠগড়ায় তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে করতেই ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলেন। বলেন, “আমরা বলেছি প্রসূতি মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মারা গিয়েছেন। ওনার দুটো বাচ্চা আছে। আপনারা দায়ী। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ৫০ লক্ষ টাকা দিন আপনারা। চাকরি দিতে হবে। বাকি তিনজন প্রসূতির কথা আমরা জিজ্ঞেস করেছি। প্রথমে বলল ক্রিটিক্যাল, তারপর বলল চিকিৎসা চলছে।” এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে বলেন, “সবথেকে বড় ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হচ্ছে গত এক মাস ধরে যাদের এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে তাঁদের ভবিষ্যতে কিডনি বিকল হতে পারে। ডাক্তারা বলছে, বিশেষজ্ঞরা বলছে এ কথা। আমরা তালিকা চেয়েছি। তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে। নাহলে ৬ মাস পরে বলবে সুগার ছিল তাই কিডনি ফেল করেছে।”