কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় নজিরবিহীন ঘটনা কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার শুনানি চলাকালীন এসএসসি-র আইনজীবীকে এজলাস ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির সঙ্গে এসএসসি-র আইনজীবীর বাক-বিতণ্ডা এতটাই চরমে ওঠে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে শেরিফকে ডাকা হয়। শেরিফ আসার আগেই দ্রুত এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, এ দিন এজলাসে শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগ ওঠে এসএসসি-র আইনজীবী চপলেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এরপরই আইনজীবীকে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলে, আদালতের কাদকর্ম সুস্থভাবে চালাতে বাধা দিচ্ছেন ওই আইনজীবী। এরপরই বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় দুজনের মধ্যে। আইনজীবী বেরতে না চাইলে শেরিফকে ডেকে পাঠান বিচারপতি। সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।
সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। অভিযোগ, অলচিকি হরফে সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ৷ তারপর পরীক্ষাও নেওয়া হয় । প্রায় ৪৬৫টি শূন্যপদ ছিল। চলতি বছরে প্রায় ৪০০ জনের নিয়োগ হয় ওই পদে। কিন্তু অভিযোগ নিয়োগ পদ্ধতিতেই অনিয়ম রয়েছে। মঙ্গলবার যদিও সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়, তবে শুনানির সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনে-র আইনজীবী নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন আদালতে।
এরপরই বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় আদালতে। বুধবার এসএসসি-র চেয়ারম্যান ও সচিবকে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন এসএসসি-র সেক্রেটারির বিশ্লেষণে সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন তিনি। কিন্তু বাক-বিতণ্ডার জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপরই আইনজীবীকে এজলাস ছাড়তে বলেন বিচারপতি। তিনি এজলাস না ছাড়ায় শেরিফকে ডেকে পাঠান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: KMC Election: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তনিমা ও সচ্চিদানন্দকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের