কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই ঘাসফুল শিবিরে ফিরেছেন। আর বছর খানেকের মধ্যেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। একুশের মতো এবারও দলবদলের ছবি ধরা পড়বে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ভূরি ভূরি তৃণমূল নেতাকে বিজেপিতে নেওয়া ভুল ছিল।
তৃণমূল থেকে এখন কেউ বিজেপিতে এলে নেওয়া হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে এদিন শুভেন্দু বলেন, “আমি নেওয়ার কেউ নই। কিন্তু, বিজেপির যে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক, তারা চায় না তৃণমূলের কোনও প্রথমসারির অত্যাচারী লোককে বিজেপিতে নেওয়া হোক। বিজেপিতে এসে তারা টিকিট পাক বা নেতৃত্ব দিক, এটা চায় না।”
একুশের নির্বাচনের আগে মুড়িমুড়কির মতো তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে নেওয়ায় কি ভোটে প্রভাব পড়েছিল? প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, “পাবলিক বলে। আমি বলছি না।” এরপরই তিনি বলেন, “পাবলিক যে ঠিক, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, প্রবীর ঘোষাল। জনগণ ঠিক বলেছিলেন। সেটা মেনেই দলের চলা উচিত। কিন্তু, ডিসিশন মেকার আমি নই।”
একুশের নির্বাচনের কয়েকমাস আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তৃণমূলের অনেকেই ভোটের আগে আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল। তবে তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেন ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, প্রবীর ঘোষালদের তৃণমূলে ফিরে আসতে দেখা যায়।
শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির কিছু ছিল না। ভুলভাল বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নিজেদের সংগঠন বলতে কিছু নেই। ২০২৪ সালে বিজেপির এই হাল হল কেন? ২০২৬ সালে কী হতে চলেছে, সেই দেওয়াল লিখন শুভেন্দুবাবুদের পড়ে নিতে বলুন।”