নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর অনেক বিক্ষুব্ধ নেতাকেই সতর্ক করেছিল দল। শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছিল যাতে তাঁরা মনোনয়ন তুলে নেন ও তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেন। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও যাঁরা মনোনয়ন তোলেননি, তাঁদের বহিষ্কার করার কাজ শুরু হয়ে গেল। একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে সরানো হয়েছে দল থেকে। তাঁদের ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। পুরুলিয়া, দুবরাজপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়ায় বহিষ্কার করা হচ্ছে নেতাদের।
ঝাড়গ্রাম থেকে দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজন, নবু গোয়ালা, ঝাড়গাম জেলা কমিটির সদস্য। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তিনি। এছাড়া বহিষ্কার করা হয়েছে রবীন মাহাতোকেও, তিনি প্রাক্তন কাউন্সিলর। বর্তমানে ১৩ নম্বরের নির্দল প্রার্থী তিনি।
পুরুলিয়ায় মোট আটজনকে একসঙ্গে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। সেই তালিকায় রয়েছেন, চিকু চন্দ্র, সোমনাথ কর্মকার, কার্তিক বাউরি, দোলন ঘোষ, দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত দত্ত, রুমকি কর্মকার ও মৌসুমী ঘোষ।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এ দিন দুবরাজপুরে জানিয়েছেন, যাঁরা তৃণমূলে থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হল। ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী ফকির বাউরি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী ভূতনাথ মণ্ডল, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী শেখ নুরমহম্মদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এ দিন। মন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা যদি জিতে ভাবে তৃণমূলে যোগদান করবে তাহলে সে গুড়ে বালি। আর কোনও নেতা যদি ভাবেন তাঁদের দলে ঢুকবেন তাহলে সেই নেতার জন্য ভাবতে হবে।’
মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ভানুপদ সাহা সহ তাঁর চার জন অনুগামীকে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করেন।
এই ব্যাপারে ভানুপদ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের তিন বারের কাউন্সিলর। চার নম্বর ওয়ার্ডের ভূমি পুত্র হিসেবে তিনি সবসময় মানুষের পাশে থাকেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও দল টিকিট দেয়নি বলে অভিযোগ।