Jadavpur University: কোটি কোটি টাকার ঘাটতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ‘প্রাইভেট কোম্পানির কাছে বেচে দেওয়া হবে’! আশঙ্কা অধ্যাপকদের
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নেই যথেষ্ট টাকা, এমনটাই দাবি অধ্যাপকদের। ঘাটতি অন্তত ২৫ কোটি টাকার।
কলকাতা : টাকার অভাবে কার্যত ধুঁকছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে নেই টাকা। কোটি কোটি টাকার ঘাটতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধ্যাপকদের অভিযোগ, সরকার টাকা দিচ্ছে না। ক্লাসরুমের অবস্থা বেহাল, সেটুকু সারানোর মতো টাকা নেই বলেই দাবি অধ্যাপকদের। তাঁদের আশঙ্কা এ ভাবে চলতে থাকলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরও বেসরকারিকরণ হয়ে যাবে না তো! হিসেব বলছে, অন্তত ২৫ কোটি টাকার ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও সরকারেরই শিক্ষা ক্ষেত্রে নজর নেই বলেও দাবি করেছেন অধ্যাপকরা। এখনও পর্যন্ত সমস্যা দেখা দেয়নি ঠিকই, তবে ঘাটতি বাড়তে থাকলে টান পড়বে সঞ্চয়ের টাকাতেও। তাই কপালে ভাঁজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের নন স্যালারি গ্রান্ট থেকে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের খাতে খরচ করা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১- ২২ সালে নন স্যালারি গ্রান্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হয়েছে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, আর্থিক কমিটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ কোটি টাকা ঘাটতির আশঙ্কা করছে। ২০২০-২১ সালে নন স্যালারি গ্রান্ট এ ঘাটতি ছিল ২০ কোটি টাকা। সেটা এবছর আরও বেড়েছে। এভাবে ঘাটতি বাড়তে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোই কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
জুটার সাধারণ সম্পাদক, পার্থ প্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে জানান, ক্লাসরুমগুলোর অবস্থা ভালো নয়। টাকা না পেলে সেগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তবে কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেট কোম্পানির কাছে বেচে দেওয়া হবে!’ তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য সমন্তক দাস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে আগামিদিনে সমস্যা হতে পারে। সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতির জন্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে, কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারেরই শিক্ষার দিকে নজর নেই, তাহলে এই অবস্থা হত না।’ তিনি মনে করেন, অন্যান্য় প্রকল্পে ঠিক মতো টাকা দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে না।
আদতে, করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে, পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে টাকা আসে, সেটাও আসেনি। অন্যদিকে, বন্ধ থাকার কারণে ক্লাসরুম বা বাথরুমের অবস্থাও খারাপ হয়েছে। আর সেগুলো মেরামত করার মতো টাকাও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। তাই এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : Trinamool Congress: তৃণমূলের মিডিয়া প্যানেলে এবার কি সেলেব মুখ? শোনা যাচ্ছে সায়নী, জুন, সায়ন্তিকার নাম
আরও পড়ুন : Calcutta High Court: ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের নজিরবিহীন নির্দেশ দিল হাইকোর্ট