কলকাতা: রাজভবন-নবান্নের দূরত্ব কি ক্রমশ ঘুচছে? ২ দিন আগেই ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল ৪টেয় রাজভবনে আসবেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই তাঁদের মধ্যে বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর।
সিভি আনন্দ বোস বাংলার রাজ্যপাল হওয়ার পর রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে প্রথম দিকে সুসম্পর্ক ছিল। সিভি আনন্দ বোস বাংলা শিখতে আগ্রহ প্রকাশের পর ২০২৩ সালে সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে হাতেখড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের হাতে বর্ণ পরিচয় তুলে দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে রাজভবন-নবান্নের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। পঞ্চায়েতে বিভিন্ন জায়গায় হিংসা নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছয় উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছিল সেই সংঘাত। আবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ডাকলেও রাজভবনে যাবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজভবন-নবান্নের সম্পর্কের বরফ গলতে দেখা যায় কয়েকদিন আগে। গত সোমবার বিধানসভায় নবনির্বাচিত ৬ বিধায়ক শপথ নেন। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কারণ, এর আগে বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন চলেছিল। তাঁদের রাজভবনে শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, দুই বিধায়ক রাজভবনে শপথ গ্রহণে রাজি হননি। এবার অবশ্য সিভি আনন্দ বোস জানিয়ে দেন, তিনি বিধানসভায় আসবেন। সেইমতো বিধানসভায় এসে ৬ বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। সেইসময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর ২ দিন আগেই রাজ্যের সুপারিশ মেনে ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। এবার মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন রাজভবনে। নবান্ন-রাজভবনের সম্পর্কের বরফ গলেছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ছে।