কলকাতা : ঠাকুরবাড়ির মতুয়া মেলায় আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হল না তাঁর। মাঝ রাস্তা থেকেই গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে আসতে হল রাজভবনে। সূত্রের খবর, রাস্তায় অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। জগদীপ ধনখড় রাজভবনে ফেরার পর দুই চিকিৎসকও পৌঁছে যান তাঁকে দেখার জন্য। তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে একটি বেড ইতিমধ্যেই তৈরি রাখা হয়েছে। নবান্ন সূত্র জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থা জানার জন্য ফোনও করেছিলেন। তবে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা ঠিক কী কারণে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ওই দুই চিকিৎসক ইতিমধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে রাজভবন থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্যপালকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।
ঠাকুরনগরে মতুয়া মহামেলা চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেলার উদ্বোধন করেছেন। সেই মতুয়া মহামেলাতেই শুক্রবার যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণেই শুক্রবার রাজভবন থেকে ঠাকুরনগরের মেলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পর্যন্ত ফিরে আসতে হয় মাঝরাস্তা থাকেই। রাজভবন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সম্ভবত বদহজম থেকেই রাজ্যপাল শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেছিলেন।
এদিকে রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে শুক্রবার বিকেলে রাজভবনে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দুদিন আগেই রাজভবনে ডাক পড়েছিল রাজ্যের মুখসচিব এবং অর্থসচিবের। সেখানে রাজ্যের তিনটি বিলে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে সেই বৈঠকের সময়েও রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় ছিলেন উত্তরবঙ্গ সফরে। রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন বাকি থাকা সব তথ্য এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যপালকে জানানো হবে। উল্লেখ্য, যে তিনটি বিলে রাজ্যপাল সই করেছিলেন, সেই তিনটি বিল হল – ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল (১), ২০২২; ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল (২), ২০২২ এবং পশ্চিমবঙ্গ অর্থ বিল, ২০২২।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: রামপুরহাটে এবার তৃণমূলের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’, সত্যান্বেষণের দায়িত্বে দলের শীর্ষ নেতা