Bagtui Massacre: রামপুরহাটে এবার তৃণমূলের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’, সত্যান্বেষণের দায়িত্বে দলের শীর্ষ নেতা
Rampurhat Murder: তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "সমস্ত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনই সব বলা হচ্ছে না। যথা সময়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।"
কলকাতা : বিজেপির পর এবার রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Bagtui Massacre) তৃণমূলের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’। ঠিক কী হয়েছিল রামপুরহাটে, তার সত্যানুসন্ধানে এবার আসরে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, ঘটনা পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এবার বগটুইয়ের নৃশংসা হত্যালীলার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তার সত্য উদঘাটন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “সমস্ত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনই সব বলা হচ্ছে না। যথা সময়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, দলের এক শীর্ষ নেতাকে এই ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের যে নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম মেনেই এই কাজ চলবে। তবে কোন শীর্ষ নেতা এর দায়িত্বে রয়েছেন, বা তাঁর সঙ্গে আর কে কে বগটুইয়ের সত্যানুন্ধানের কাজে যুক্ত রয়েছেন, সেই বিষয়ে অবশ্য কুণাল ঘোষ এখনই খোলসা করে কিছু জানাননি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির তরফ থেকে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম বাংলায় পাঠানো হয়েছিল। জে পি নাড্ডার পাঠানো ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন চার অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস। সেই প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পদ্ম নেতৃত্বের কাছে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এবার বিজেপির সেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের পাল্টা সত্যানুসন্ধানে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলার তথা গোটা দেশে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। বিরোধীরা বার বার শাসক শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি উঠছে। আর এরই মধ্যে দলের অন্দরে আনারুলকে কেন্দ্র করে অনুব্রত মণ্ডল ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। যে বিষয়টি উঠে আসছে, তা হল, আনারুলকে নাকি পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আনারুলকে রাখা হয়েছিল। এদিকে আবার বিজেপির প্রতিনিধি দল দিল্লিতে দলীয় নেতৃত্বের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে আবার নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব জানতে চাইছে, রামপুরহাটে আসলে ঠিক কী হয়েছিল। দলের সংগঠনের উপর ভিত্তি করেই তৃণমূল এই সত্য উদঘাটনে নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।