AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saltlake Molestation Case: আলাদা ক্লাস নেওয়ার নামে ছাত্রীকে সল্টলেকের গেস্ট হাউজে ডেকে ধর্ষণ, মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত

Physical Harassment of student: অভিযোগ, ওই শিক্ষক নির্যাতিতা ছাত্রীকে জানিয়েছিল, তাঁর আলাদা করে ক্লাস নেবে। তার জন্য তরুণীকে শিক্ষকের সিকে ব্লকের বাড়িতে আসতে হবে। নির্যাতিতা ওই ছাত্রী প্রথমে কিছু বোঝেননি। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন আলাদা ক্লাসের জন্য।

Saltlake Molestation Case: আলাদা ক্লাস নেওয়ার নামে ছাত্রীকে সল্টলেকের গেস্ট হাউজে ডেকে ধর্ষণ, মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
নারী নির্যাতন।
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2022 | 4:18 PM
Share

কলকাতা : সল্টলেকের এক গেস্ট হাউজে তরুণীকে ধর্ষণের (Molestation) অভিযোগ। কোচিংয়ের নাম করে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে টিউশন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম প্রিযস সিং সেঙ্গার। তরুণীর আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে ভাইরাল করার হুমকিও দিয়েছিল ওই শিক্ষক। ঘটনায় বিধাননগর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষককে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানালে, আদালত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে রাজ্যের একের পর এক এমন ধর্ষণের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। সল্টলেকে একটি কোচিং সেন্টারে আইপিএস আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং সেন্টার চলত। ওই কোচিং সেন্টারেরই একজন শিক্ষক ছিল প্রিযস সিং সেঙ্গার। অভিযোগ, ওই শিক্ষক নির্যাতিতা ছাত্রীকে জানিয়েছিল, তাঁর আলাদা করে ক্লাস নেবে। তার জন্য তরুণীকে শিক্ষকের সিকে ব্লকের বাড়িতে আসতে হবে। নির্যাতিতা ওই ছাত্রী প্রথমে কিছু বোঝেননি। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন আলাদা ক্লাসের জন্য। সেই মতো প্রিযস সিং সেঙ্গারের দেওয়া সল্টলেক সিকে ব্লকের ঠিকানায় ১১ ডিসেম্বর পৌঁছে যান ওই পড়ুয়া। অভিযোগ, এরপরেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক। পরবর্তীতে ওই তরুণী জানতে পারেন, সেটি একটি গেস্ট হাউজ় ছিল। তাঁর আপত্তিকার ছবিও তুলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা কাউকে জানালে এই ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।

পরে তরুণী বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তী সময়ে পরিবারের লোককে বিষয়টি জানালে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর মহিলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বিধাননগর মহিলা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের ফোনের নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। জানা যায়, সে মধ্য প্রদেশে রয়েছে। সেই মতো পুলিশ গোয়ালিয়র থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে এবং ট্রানজিট রিমান্ডে বিধাননগরে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়।

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder: একদিন পরে কেন তদন্ত শুরু? কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন আদালতের