Bagtui Massacre: ওই রাতে ১০.২২-এ পৌঁছেছিলেন, কিন্তু আগুন নেভাতে কি বাধা কেউ দিয়েছিলেন? ফের প্রশ্নের মুখে দমকলের ওসি
Bagtui Massacre: দমকল কর্মীরা সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঘটনার রাতে ১০.২২ মিনিটে অকুস্থলে পৌঁছেছিলেন। তবে তাঁদেরকে কেউ বাধা দিয়েছিলেন বলে সিবিআই-এর কাছে জানাননি।
বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে আজ, শুক্রবার ফের তলব করা হল রামপুরহাট দমকল কেন্দ্রের ওসিকে। ঘটনাস্থলে প্রথম পৌঁছানো পুলিশকর্মীদেরও সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। মিলিয়ে দেখা হচ্ছে দমকল ও পুলিশের বয়ান। এবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলিয়ে দেখার প্রক্রিয়াও করবে সিবিআই। বৃহস্পতিবারও তলব করা হয়েছিল ওসিকে। আজ তাঁকে দ্বিতীয় পর্যায়ে জেরা করা হবে। দমকল কর্মীরা সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঘটনার রাতে ১০.২২ মিনিটে অকুস্থলে পৌঁছেছিলেন। তবে তাঁদেরকে কেউ বাধা দিয়েছিলেন বলে সিবিআই-এর কাছে জানাননি। আজ সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করে জানতে চান তদন্তকারীরা। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যাঁরা নিহত, তাঁদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ মিলিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্তের সময়ে তাঁদের দেহাংশ রেখে দেওয়া হয়েছিল, ডিএনএ মিলিয়ে দেখার জন্য। সেই প্রক্রিয়া আজ শুরু হবে। বেশ কয়েকটি দেহ রয়েছে, যেগুলোকে একেবারে চেনা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁদেরকে দেখে চিহ্নিত করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরাও। তাই সিবিআই আদালতে আবেদন করবে, ডিএনএ স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য। আজ ফের গ্রামে তল্লাশি চালাবেন তদন্তকারীরা।
বগটুই কাণ্ডে মঙ্গলবারই রামপুরহাট থানার আইসিকে সিবিআই তদন্তকারীরা তলব করেন। তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা নাকি আগেই আঁচ করেছিলেন তিনি। তবুও কেন কোনও পদক্ষেপ করেননি? তিনি কি কারোর নির্দেশে কাজ করেছিলেন? জানতে চান তদন্তকারীরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গিয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
ইতিমধ্যেই রামপুরহাট হাসপাতাল, বগটুই মোড় ও হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিবিআই। বগটুই গ্রামে কোনও সিসিটিভি না থাকায় মেলেনি ফুটেজ। তবে হাইওয়ে থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল কিনা তা জানার জন্য হাইওয়ে ও বগটুই মোড়ের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনাক্রম তৈরি করছেন তদন্তকারীরা। সেই রাতে বগটুই গ্রামের আগুন নেভাতে আসা দমকলের অফিসার ও ফায়ার অপারেটরদেরও তালিকা ধরে তলব করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।