Naihati: ‘ধার নিয়ে অনেকে টাকা ফেরত দেননি’, স্বামীর আত্মহত্যার পর মেয়েকে নিয়ে সেই পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি স্ত্রীর
Naihati: নৈহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলার বাসিন্দা ছিলেন সাহেব মিত্র। শনিবার সকালে তাঁর বাড়ি লাগোয়া গ্যারাজ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। সাহেবের স্ত্রী পৌলমী মিত্রের অভিযোগ, পুরসভার এক ঠিকাদার-সহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা পেতেন সাহেব।
উত্তর ২৪ পরগনা: ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। এবার চরম অসহায়তায় ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে সেই পথেই হাঁটার কথা বললেন স্ত্রী। নৈহাটিতে ইমারত ব্যবসায়ী সাহেব মিত্রর (৫১) মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী পৌলমী মিত্রের আর্জি, “একটু যদি আমাদের সহযোগিতা করে টাকাটা ফিরিয়ে দেন। আমিও মৃত্যু পথযাত্রী। আগামিদিনে আমাকেও মেয়েকে নিয়ে এই পথেই হাঁটতে হবে।” পৌলমীর কথায়, “আমার তো আর কিছুই নেই। কী নিয়ে বাঁচব, মেয়েটার মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেব? যে বাড়িটা আছে, সেটাও বন্ধক রাখা।”
নৈহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালতলার বাসিন্দা ছিলেন সাহেব মিত্র। শনিবার সকালে তাঁর বাড়ি লাগোয়া গ্যারাজ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। সাহেবের স্ত্রী পৌলমী মিত্রের অভিযোগ, পুরসভার এক ঠিকাদার-সহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা পেতেন সাহেব। বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করলেও সে টাকা পাননি। দিনের পর দিন ঘুরে এসেছেন সাহেব।
পৌলমীর অভিযোগ, এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের কাছ থেকেও ৮ লক্ষ টাকা পেতেন। সেটাও এখনও আদায় হয়নি। এদিকে বাজারে দেনা বাড়ছিল সাহেবেরও। টাকা দিতে পারছিলেন না। মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রীর আক্ষেপ, টাকা আদায়ে কারও সহযোগিতা না পেয়েই তাঁর স্বামীকে অকালে চলে যেতে হল। পৌলমী মিত্র বলেন, “আমার যা সোনা গয়না সব বন্ধক রাখা আছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমি নিঃস্ব।”