মুখের মরা কোষ তুলে ত্বকের জেল্লা ফেরানোর জন্য স্ক্রাব করা সত্যিই প্রয়োজন। কিন্তু ফেস স্ক্রাবিং করার ক্ষেত্রে অনেকসময়েই আমাদের অজান্তে অনেক ভুল হয়ে যায়, যা পরবর্তীকালে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। ফলে ফেস স্ক্রাবিং করার সময় এবং আগে ও পরে, বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তাহলেও স্ক্রাব করার উপকারিতা সঠিক ভাবে পাওয়া সম্ভব।
কোন কোন বিষয়ে নজর রাখবেন দেগুলো একঝলকে দেখে নিন
১। স্ক্রাব করার আগে ত্বকের ময়শ্চারাইজিং অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই যেদিন ফেস স্ক্রাব করার পরিকল্পনা থাকবে, তার আগের রাতে ভাল করে মুখে ক্রিম লাগিয়ে তবে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর স্ক্রাব লাগান।
২। শুধুমাত্র ফেস স্ক্রাবিংয়ের আগে নয়, পরেও প্রয়োজন ত্বকের ময়শ্চারাইজিং। কারণ স্ক্রাব করার পর সাময়িক ভাবে ত্বক শুষ এবং রুক্ষ হয়ে যায়। তাই স্ক্রাবিং করার পর অবশ্যই মুখে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে।
৩। স্ক্রাবিং করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই হাতে সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে স্ক্রাবিং করুন। তাড়াহুড়ো করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। খুব ঘনঘন স্ক্রাব করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়।
৪। খুব আলতো হাতে স্ক্রাব লাগাতে হবে মুখে। কারণ মুখের চামড়া এমনিতেই নরম হয়। তাই গায়ে জোরে স্ক্রাব লাগিয়ে ঘষলে কিন্তু ত্বকের বারোটা বাজতে বেশি সময় লাগবে না।
৫। যদি করোনা স্ক্রাবিং প্যাক তৈরি করেন তাহলে পাতিলেবুর রস, মধু, হলুদ, অলিভ অয়েল, দুধের সর, টকদই— এইসব উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। এই সবক’টি উপাদানই ত্বকের পরিচর্যায় দারুণ ভাবে কাজে লাগে।
৬। স্ক্রাব করার পর মুখে ধোয়ার জন্য পরিষ্কার ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করতে হবে। আলগা হাতে অল্প অল্প করে জল দিয়ে মুখে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর নরম তোয়ালে বা গামছা দিয়ে আলতো হাতে মুখ মুছতে হবে। কোনও সময়েই ত্বকের উপর তোয়ালে বা গামছা গায়ের জোরে ঘষবেন না।
কোন কোন সময় স্ক্রাব করবেন না-
ত্বকের ট্যান দূর করতে, মরা কোষ তুলে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ও আরও হাজারটা সমস্যার সমাধান রয়েছে ফেস স্ক্রাবিংয়ে। তবে যদি ত্বক খুব রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে থাকে কিংবা ত্বকে কোনও র্যাশ বা অ্যালার্জি দেখা দেয়, তাহলে সেই অবস্থায় একেবারেই স্ক্রাব করবেন না। কারণ এর ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- Skin Care Tips: শুধু স্বাদে নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও দুধের সর দারুণ ভাল উপকরণ