যদি আপনার চুল খুব দুর্বল, শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে থাকে, তাহলে এর সবচেয়ে ভাল সমাধান হল হেয়ার মাস্ক। হেয়ার মাস্ক ক্ষতিগ্রস্থ এবং শুষ্ক চুলকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে চুলকে করে তোলে উজ্জ্বল। চুলের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রেকেজ প্রতিরোধ করে। যদিও, আপনি সহজেই বাজারে অনেক ধরনের হেয়ার মাস্ক পাবেন।
তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেও সহজেই মাস্ক তৈরি করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেয়ার মাস্ক চুলের জন্য আরও ভাল কাজ করে। এগুলি চুলকে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে, সেই সঙ্গে চুলের ওপর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ফেলে না। আমরা আপনার জন্য এনেছি তিন ধরনের প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্কের খোঁজ।
দই ও ভিনেগারের তৈরি হেয়ার মাস্ক
এটি তৈরি করতে, একটি পাত্রে দই নিন। এতে এক চামচ মধু এবং এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। সব উপাদানগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান। প্রায় আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক চুলে পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে মজবুত করে তোলে। এতে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং শুষ্কতা দূর হয়।
অ্যাভোকাডোর তৈরি হেয়ার মাস্ক
এই হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে, একটি পাকা অ্যাভোকাডো নিন এবং তাতে আধা কাপ দুধ মেশান। এরপর এতে এক চামচ বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল মেশান। এই সব উপাদানকে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এর পর এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর রেখে দিন, তারপর জপ্ল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা দূর হয় এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
কলা ও দইয়ের তৈরি হেয়ার মাস্ক
এই হেয়ার মাস্কটি তৈরি করতে প্রয়োজন একটি কলা, একটি ডিম এবং এক টেবিল চামচ দই। এই মাস্কে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে হবে, হলুদ অংশ নয়। এই সব উপাদানকে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি হালকা হাতে চুলে লাগান। পনেরো মিনিটের জন্য এটি চুলে রেখে দিন। এরপর সাধারণ জল দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। তার সঙ্গে চুলে উজ্জ্বলতা আসবে। এতে চুলের শুষ্কতা চলে যাবে এবং চুলের বৃদ্ধি ভাল হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শরীর নয়, ত্বকের জন্যও উপকারী আদা! কীভাবে ব্যবহার করবেন, দেখে নিন
আরও পড়ুন: খুশকি থেকে স্থায়ী নিরাময়ের জন্য এবার এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন…
আরও পড়ুন: শীতের দিনগুলিতে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবেন কীভাবে? মেনে চলুন এই ১০টি জরুরি টিপস