
শরীরের বিশেষ পরিচর্যা করার আগে প্রাথমিক কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। তা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা। সকলেই অভিযোগ করেন রোজ চুল ঝরে যাচ্ছে। হাজারো ট্রিটমেন্ট, শ্যাম্পু, তেল এসব ব্যবহারের পরও কমছে না চুল ওঠা। আর তাই প্রথমেই যা করতে হবে, তা হল নিয়মিতভাবে বালিশের কভার বদলে ফেলতে হবে।
চুলে তেল মাখা হলে বা বাইরে থেকে ঘুরে আসলে যাবতীয় ময়লা চুলেই লেগে থাকে। এবার বালিশের কভারেই সেই ধুলো ময়লা বসে থাকে। চুলও সেই বালিশেই ঘষা হয়। যে কারণে একই বালিশের কভার দিনের পর দিন ব্যবহার করলে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সব ব্যাকটেরিয়াও এই কভারেই এসে জমা হয়। অনেকেই আছেন টানা ১০ দিন একই বালিশের কভার, বেডশিট ব্যবহার করেন। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
সিল্কের বালিশ ব্যবহার করলে ত্বক আরও ভাল হতে পারে। সম্প্রতি আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সিল্কের বেডশিট ব্যবহার করেন তাঁদের ত্বকের সমস্যা, ব্রণ এসবও তুলনায় অনেক কম হয়। এছাড়াও সিল্ক তুলনায় মুখ থেকে কম পরিমাণ তেল শোষণ করে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। নিয়মিত ভাবে সিল্কের বালিশ ব্যবহার করলে চুল পড়াও কমবে বলে আশ্বাস গীতিকার।
রোজের ব্যবহার জামাকাপড় যেমন আমরা পরদিন সকালে উঠে কেচে ফেলি এক্ষেত্রেও ঠিক তাই। নিয়মিত বালিশ, চাদর রোদে দিতে হবে আর ধুয়েও নিতে হবে। যাঁদের মুখে ব্রণর সমস্যা রয়েছে তাঁদের উচিত সপ্তাহে তিনবার বালিশের কভার বদলানো। নইলে ত্বকের সংক্রমণ বাড়বে। ইনফেকশনের আশঙ্কাও থেকে যায়।
শুধু বালিশ, চাদর নয় গীতিকা একটি বড় তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন। নিয়মিত ভাবে মেকআপ ব্রাশ, বিউটি ব্লেন্ডার, তোয়ালে, দাঁত মাজার ব্রাশ, চিরুনি এসবও পরিষ্কার করতে হবে। নইলে ত্বকের সমস্যা, ব্রণ, একজিমা এসবের সমস্যা বাড়তেই থাকবে। আর তাই সুস্থ থাকতে এই সব অভ্যাসে বদল আনতেই হবে।