বিশেষ দিনে বাঙালি পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খেতে বসে। তবে, সাধারণ দিনেও ২-৩টে পদ থাকেই। প্রথম পাতে ভাজাভুজি বা সেদ্ধ, তারপর ডাল-তরকারি আর মাছ-ডিম বা মাংস। প্রথম পাতে তেতোটাই থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারও তেতো খাবার। উচ্ছে-করলা ভাজা কিংবা সেদ্ধ। অনেক সময় শুক্তো বা উচ্ছে চচ্চড়িও রান্না হয়। গরম ভাতের সঙ্গে উচ্ছে-করলার পদ মন্দ লাগে না। আর স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী এই সবজি। কিন্তু উচ্ছের সঙ্গে কিংবা আগে-পরে ভুল খাবার খেলেই বিপদ। এমন ৫টি খাবার রয়েছে, যা উচ্ছে-করলার সঙ্গে খাওয়া যায় না।
দুধ: শুক্তো তৈরিতে দুধ ও করলা একসঙ্গে ব্যবহার হয় ঠিকই। কিন্তু এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। উচ্ছে খাওয়ার আগে বা পরে দুধ খেলে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে। এমনকি দুটো খাবারের মাঝে বিশেষ সময়ের ব্যবধান না থাকলেও সমস্যায় পড়বেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
মুলো: যদিও এটা মুলোর মরশুম নয়। কিন্তু মুলো দিয়ে উচ্ছে-করলা রান্না করবেন না। মুলো ও উচ্ছে একসঙ্গে খেলে পেটের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। গ্যাস-অম্বল, বুকজ্বালার সমস্যা বাড়তে পারে।
ঢ্যাঁড়শ: প্রথম পাতে উচ্ছে ভাজা আর তারপরেই ঢ্যাঁড়শের তরকারি। এই ভুল একদম নয়। পেটের সমস্যা এড়াতে উচ্ছে ও ঢ্যাঁড়শ একসঙ্গে খাবেন না। এমনকি একই দিনে এই দুই সবজি খাওয়া উচিত নয়।
দই: গরম পড়তে অনেকেই দই-ভাত খাচ্ছেন। শেষ ভাতে দই ভাত খেতে মন্দও লাগে না। কিন্তু প্রথম পাতে উচ্ছে ভাজা খাওয়ার পর শেষ ভাতে দই না খাওয়াই ভাল। দই ও উচ্ছে একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে।
আম: গ্রীষ্মকাল এসে গিয়েছে। আর কয়েকদিন পরে বাঙালি ভাতের সঙ্গে আম খাবে। কিন্তু যখন ভাতের সঙ্গে আম খাওয়ার প্ল্যান করবেন, তখন উচ্ছে-করলার তৈরি পদ খাবেন না। আম ও উচ্ছে একসঙ্গে খেলে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এই দুই খাবার একসঙ্গে না খাওয়াই ভাল।