Weight Loss Diet: মুঠো মুঠো কিশমিশ খেলেই কাজ হবে না, ওজন কমাতে মানুন এই নিয়ম

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jan 21, 2023 | 7:18 AM

Soaked Raisin: সঠিক উপায়ে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে কিশমিশ খেলে তবেই উপকার মিলবে। বেশি খেয়ে নিলে ওজন কমার বদলে বেড়েও যেতে পারে।

Weight Loss Diet: মুঠো মুঠো কিশমিশ খেলেই কাজ হবে না, ওজন কমাতে মানুন এই নিয়ম

Follow Us

ক্যানসার প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে জুড়ি মেলা ভার কিশমিশের। কিশমিশ এমন এক প্রকার ড্রাই ফ্রুটস, যা প্রদাহ তৈরি করে এমন সব সমস্যা প্রতিরোধ করে। স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে সব সময় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে এই শুকনো ফল। এমনকী ওজন কমাতেও সহায়ক কিশমিশ। কিন্তু এক মুঠো কিশমিশ চিবিয়ে খেলেই যে ওজন কমে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। সঠিক উপায়ে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে কিশমিশ খেলে তবেই উপকার মিলবে। কারণ কিশমিশের মধ্যেও ক্যালোরি রয়েছে। সুতরাং, বেশি খেয়ে নিলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে।

মহিলারা প্রতিদিন ১৫-২০টি কিশমিশ খেতে পারেন। অর্থাৎ ছোট কাপের এক কাপ খেলেই হবে। অন্যদিকে, পুরুষেরা দেড় কাপ কিশমিশ খেতে পারেন। শুধু পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখলে চলবে না। সঠিক উপায়েও কিশমিশ খেতে হবে। শুকনো কিশমিশ খেলে খুব একটা উপকার পাবেন না। কিশমিশ জলে ভিজিয়ে খান। সারারাত কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই জল সমেত কিশমিশগুলো খেয়ে নিন। এতে কিশমিশের মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের পুষ্টি ভালভাবে শরীরে পাওয়া যায়।

একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা পুষ্টির শোষণ বাড়ায়। আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় কিশমিশ লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া এভাবে কিশমিশ খেলে দ্রুত ওজন কমে। কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, যা অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়।

কিশমিশের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম। সুতরাং, এটি খেলে চটজলদি খিদে পায় না। তাছাড়া এই শুকনো ফলে শর্করা ও লেপটিন রয়েছে যা খিদেকে দমন করে। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিপূর্ণ রাখে। তাছাড়া লেপটিন থার্মোজেনেসিস প্রক্রিয়া বাড়িয়ে চর্বি কোষগুলিকেও মেরে ফেলতে পারে।

ওজন কমানোর জন্য আপনাকে অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হয়। খাবার যত ভাল ভাবে হজম হবে, তত তাড়াতাড়ি ওজন কমবে এবং শরীর ভাল থাকবে। এক্ষেত্রেও ভেজানো কিশমিশ দারুণ উপযোগী। কিশমিশ হজন ক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তার কারণ, এই ফলের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। অন্যদিকে, কিশমিশ প্রোবায়োটিকের মতো কাজ করে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে।

সকালে উঠে কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে এটি শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে এবং ওবেসিটির ঝুঁকি কমে। ডায়েটিং ও ওয়ার্কআউটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোজ সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে আপনিই উপকার পাবেন।

Next Article