শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ছাড়া চুলের দেখভাল করা যায় না। চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য দরকার তেলও। কিন্তু এগুলোই যথেষ্ট নয়। অনেক সময় দেখা যায়, ভাল মানের হেয়ার কেয়ার পণ্য ব্যবহার করার পরও চুলের সমস্যা পিছু ছাড়তে চায় না। দেহে পুষ্টির ঘাটতি থাকলেও চুল পড়ে। মুঠো মুঠো চুল ওঠার পিছনে দেহে প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন ই-এর মতো পুষ্টির ঘাটতি থাকতে পারে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে হলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখলে সহজেই এড়াতে পারবেন চুলের সমস্যা। তবে, এমন একটি পানীয় রয়েছে, যা রোজ খেলে চুল পড়া ১ সপ্তাহে বন্ধ হবে।
চুলের ম্যাজিক ড্রিংক:
১/২ গাজর, এক মুঠো পালং শাক, ১টা সেলেরি, ৭-৮টা কারি পাতা, ১/২ আমলা, ১/২ শসা, ১ ইঞ্চি আদা, ১/২ আপেল, ৪-৫টা সজনে পাতা নিন। এতে অল্প জল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার এই জুসে লেবুর রস ও এক চিমটে নুন মিশিয়ে দিন। প্রতিদিন সকালে এই পানীয় খেলে বন্ধ হবে চুল পড়া।
এই ম্যাজিক ড্রিংক যেভাবে চুলের যত্ন নেয়:
১) গাজরের মধ্যে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা স্ক্যাল্পকে ভাল রাখে এবং চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।
২) পালং শাকের মধ্যে আয়রন রয়েছে, যা স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এতে চুলের ফলিকল মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে।
৩) সেলেরির মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি। এই সবজি চুল ও স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
৪) কারি পাতার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
৫) আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা চুলের কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। এটি পাকা চুলের সমস্যা দূর করে।
৬) শসা চুল ও স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করে।
৭) আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এই ভেষজ উপাদান চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। এতে নতুন চুলও গজায়।
8) আপেল ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এটি স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে। এটি খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা দূর করে।
৯) সজনে পাতার মধ্যে ভিটামিন এ, বি এবং ই রয়েছে, চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এতে অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে, যা চুলের ফলিকলকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।