বয়স বাড়ায় সন্তান হতে অসুবিধা? IVF-ই একমাত্র সমাধান? উপায় জানালেন চিকিৎসকরা
কাজের চাপ, কেরিয়ারে ইঁদুর দৌড়ের জেরে যে আরও কঠিন হয়ে পড়েছে একটা সুস্থ সবল জীবন। নিজেকে সবার থেকে এগিয়ে রাখতে রোজই লাইফে নতুন নতুন আপডেট। হাতে, পকেটে, আশপাশে টেকনোলজির জাল। হাজার রকম জালে ফেঁসে লাইফস্টাইল এখন একেবারে অন্যরকম।

কাজের চাপ, কেরিয়ারে ইঁদুর দৌড়ের জেরে যে আরও কঠিন হয়ে পড়েছে একটা সুস্থ সবল জীবন। নিজেকে সবার থেকে এগিয়ে রাখতে রোজই লাইফে নতুন নতুন আপডেট। হাতে, পকেটে, আশপাশে টেকনোলজির জাল। হাজার রকম জালে ফেঁসে লাইফস্টাইল এখন একেবারে অন্যরকম। রাত জেগে কাজ, স্ট্রেস, বিনোদনের নামে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। নানা নেশায় আসক্ত। আর যার ফলে স্বাস্থ্যে বড়সড় আঘাত। বিশেষ করে বহু পুরুষ ও মহিলারাই সম্মুখীন হচ্ছেন বন্ধ্যাত্বের সমস্যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, যত দিন যাচ্ছে, গোটা বিশ্বেই বেড়ে চলছে এই সমস্যা। তবে এই সমস্য়ার এখন ম্য়াজিক সমাধান আইভিএফ। বিশ্বের অন্য়ান্য দেশের মতো, ভারতেও এখন বহু দম্পতি আইভিএফ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্তানসুখ পাচ্ছেন। তবুও সচেতনতার অভাবে এই আইভিএফ নিয়ে বহু ভুল ধারনা রয়েছে মানুষের মনে। সেই ভুল ধারনা দূর করতেই শনিবার, বিশেষ আলোচনায় সামিল হলেন কলকাতা শহরের একঝাঁক চিকিৎসক। আইভিএফ কী, কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনায় উঠে এল নানা অজানা তথ্য।

এই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন জেনোম ফার্টিলিটি সেন্টারের পাঁচ চিকিৎসক অঞ্জনা ঘোষ, শবনম পরভিন, সুজয় দাশগুপ্ত, সুদীপ সামন্ত, আত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়।
১১ মে, রবিবার মাদার্স ডে। আর তার আগেই আইভিএফের সাহায্যে সন্তানসুখ নিয়ে বলতে গিয়ে, প্রথমে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন, প্রথমে মাথায় রাখতে হবে বন্ধ্য়াত্ব কোনও রোগ নয়। এটা একটা সমস্যা। তাই ইনফার্টিলিকে, চিকিৎসকরা বলছেন সাব ফার্টিলিটি। সঙ্গে চিকিৎসকরা এটাও জানালেন, আইভিএফ একটা প্রক্রিয়া, যা কোনওভাবেই শর্টকাট বা সহজপথ নয়। বরং এটা একটা প্রসেস, যার মধ্যের থাকে অনেকগুলো ধাপ। সেই ধাপগুলো পেরিয়েই আইভিএফ সম্পন্ন হয়। তাই প্রথমেই দরকার ধৈর্য এবং প্রথমেই মানসিক দিক থেকে প্রস্তুতি দরকার। এক্ষেত্রে, দম্পতিকে প্রথমেই এই সমস্য়াকে, শারীরিক কোনও ত্রুটি ভাবা বন্ধ করতে হবে। কারণ, এই ধরনের চিকিৎসায় মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকা খুবই জরুরী।
আম্বুজা নেওটিয়া হেলথ কেয়ার আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন জেনোম ফার্টিলিটি সেন্টারের পাঁচ চিকিৎসক অঞ্জনা ঘোষ, শবনম পরভিন, সুজয় দাশগুপ্ত, সুদীপ সামন্ত, আত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়। প্রত্য়েকের কথাতেই উঠে এল ইনফার্টিলিটি সমস্য়ার প্রধান কারণ হিসেবে অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলের কথা। কীভাবে অতিরিক্ত ধূমপান, অ্য়ালকোহল এবং স্ট্রেস আমাদের প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলছে, সেকথাই জানালেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে স্পষ্ট ধারণা দিলেন, আইভিএফ সম্পর্কে।
এই খবরটিও পড়ুন




প্রত্যেক চিকিৎসকেরই কথায়, আজকাল কেরিয়ারে চাপে অনেকেই একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেন। তার ফলে ফ্যামিলি প্ল্যানিংও স্বাভাবিকভাবে দেরি হয়ে যায় এবং সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্য়া হয়। সঙ্গে তো রয়েইছে লাইফস্টাইল। একদিকে বয়স ও জীবনে স্ট্রেস বেড়ে যাওয়ার কারণে শুক্রাণু ও ডিম্বানুর গুণগতমান কমতে থাকে। সেক্ষেত্রে সন্তানলাভের ব্যাপারে আইভিএফ এমন এক প্রযুক্তি যা কিনা এই সমস্যাগুলো দূর করতে সমর্থ হয়। এমনকী, অল্প বয়সে ডিম্বানু ফ্রিজ করে রাখার বিষয়ের কথাও বললেন চিকিৎসকরা। পাশ্চত্যের দেশের মতো এদেশে, এই শহরেও ডিম্বানু ফ্রিজ করে রাখা যায়। পরে কোনও নারী তাঁর ফ্রিজ করে রাখা ডিম্বানুর সঙ্গে পছন্দের পুরুষের শুক্রাণু সহযোগে সন্তান জন্ম দিতে পারেন। এ ব্যাপারে বয়সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শুক্রাণু বা ডিম্বানুর গুণগতমান।





