ভাত ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারেন না। কেউ সারাদিনে একবার ভাত খায়। আবার কারও তিনবেলাই ভাত চাই। কিন্তু ওজন কমানোর হলে ভাতের মায়া ছাড়তে হয়। অনেকেই ওয়েট লস ডায়েট শুরু করলে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন কিংবা ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দেন। ভাত ওজন বাড়ালেও ভাতের ফ্যান কিন্তু মেদ ঝরায়। ভাতের ফ্যান ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া পুষ্টিতে ভরপুর ভাতের ফ্যান। শুনে চমকে গেলেন? ভাত ঝরিয়ে ফ্যান ফেলে না দিয়ে রোজ খান। হাতেনাতে পাবেন উপকারিতা।
পুষ্টিতে ভরপুর আর ক্যালোরি নেই: ভাতের ফ্যানে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ফ্যানের মধ্যে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এটি মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। ভাতের ফ্যান খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হবে না। তাছাড়া এই পানীয়তে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। ওজন কমাতে গেলে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। এক্ষেত্রে ফ্যান খেতে পারেন।
হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয়: ভাতের ফ্যানের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। ফ্যান খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে এবং হজমজনিত সমস্যা দূর হয়। তাছাড়া ভাতের ফ্যানে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। হজম স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ওজন কমানো আরও সহজ হয়।
হাইড্রেশন: শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ওজন কমানো আরও সহজ হয়। ভাতের ফ্যান খেলে এটি শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। হাইড্রেটেড থাকলে খিদে কম পায় এবং ওজন কমে।
মেটাবলিজম উন্নত করে: আপনার বিপাক হার যদি ভাল হয়, তাহলে খুব কম কসরতেই ওজন কমানো যায়। আর এই মেটাবলিজমকে উন্নত করতে সাহায্য করে ভাতের ফ্যান। এই পানীয় ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওবেসিটির ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমাতে যেভাবে ভাতের ফ্যান খাবেন-
১) ভাত হয়ে গেলে ফ্যান ঝরিয়ে রেখে দিন। এই ভাতের ফ্যান ঠান্ডা জলে এতে লেবুর রস ও অল্প দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। খিদে মেটানোর জন্য, কম ক্যালোরির খাবার হিসেবে ভাতের ফ্যানে চুমুক দিন।
২) যে কোনও স্মুদি, ভেষজ চা বানানোর সময় এই ভাতের ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা স্যুপ, স্টু বা পোরিজ বানানোর সময় ভাতের ফ্যান ব্যবহার করুন।