কম বয়সে চুলে পাক ধরা এখন কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৫-এর মেয়েটাও ভুগছে চুলের ধূসরতা নিয়ে। আবার ৫০ ঊর্ধ্ব মহিলাও ভুগছেন এই একই সমস্যায়। যদিও বয়সের সঙ্গে পাকা চুলের সমস্যা খুব সাধারণ। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে চুলের কোলাজেন, মেলানিন কমে যায়, যার জেরে বাড়ে পাকা চুলের সমস্যা। কিন্তু কম বয়সে চুলে পাক ধরা মোটেও ভাল বিষয় নয়। মানসিক চাপ, দূষণ ও চুলের অযত্ন, এমনকি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জেরে চুলে অকাল পক্কতা দেখা দেয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা জেনেটিকও হয়।
সাধারণত চুলের ধূসর ভাব থাকতে অনেকেই হেয়ার কালার ও হেনার সাহায্য নেন। হেয়ার কালার কখনওই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী নয়। এটি চুলের ঘনত্ব নষ্ট করে দেয়। কমিয়ে দেয় মেলানিনের মাত্রাও। এর জেরে চুলের গোড়া আরও সাদা হতে থাকে। তবে, হেনা চুলের জন্য ভাল অপশন। হেনা প্রাকৃতিক উপাদান। সঠিক উপায়ে ব্যবহার করলে পাকা চুলের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। কিন্তু হেনার রেজাল্ট দীর্ঘস্থায়ী হয় না। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আপনাকে হেনার করতে হয়। পাকা চুলের স্থায়ী সমাধান রয়েছে আয়ুর্বেদে।
আয়ুর্বেদিক তেল চুলের পাকা চুলের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। আমলকি, ভৃঙ্গরাজ ও জবার মতো প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনার চুলের স্বাস্থ্যও উন্নত করবে। চুলের গোড়া মজবুত করবে। চুল পড়া প্রতিরোধ করবে এবং চ্যলের অকাল পক্কতা থেকে মুক্তি দেবে। এক কাপ নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকি, ভৃঙ্গরাজ ও জবা গাছের পাতা ফুটিয়ে নিন। এই তেল স্নান করার ৩০ মিনিট আগে চুল ও স্ক্যাল্পে মালিশ করুন।
আয়ুর্বেদিক তেলের উপকারিতা:
আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি, ট্যানিন, ফসফরাস, আয়রন ও ক্যালশিয়াম রয়েছে। এগুলো চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। আমলকি নতুন চুল গজায়, পাকা চুলের সমস্যা কমায় এবং খুশকির সমস্যার লড়াই করে। ভৃঙ্গরাজ স্ক্যাল্প ও চুলকে পুষ্টি জোগায়। আয়ুর্বেদিক তেল স্ক্যাল্পে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এই তেল চুলের ফলিকলে পুষ্টি, অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। জবা পাতা পাকা চুলের সমস্যা দূর করে।