জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) পুরস্কারের জন্য ভারতের তিনটি গ্রাম সেরা পর্যটনযোগ্য গ্রাম বিভাগে মনোনীত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের লধপুরা খাস গ্রাম যা ওরচা শহরের কাছে অবস্থিত এমনই একটি গ্রাম। অন্য দুটি গ্রাম হল মেঘালয়ের কংথং গ্রাম এবং তেলেঙ্গানার পোচামপল্লি গ্রাম। জেনে নিন এই গ্রামগুলির বৈশিষ্ট্য…
দেশের গ্রামীণ পর্যটন প্রকল্প রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় গ্রাম পর্যটন চালু হয়েছে। এই ধরনের প্রকল্পের পিছনে মূল কারণ ছিল গ্রাম পর্যটনের ধারণার বিকাশ ঘটানো যা দেশে সেভাবে প্রচলিত ছিল না।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং টুইটারে লিখেছেন, “মধ্যপ্রদেশের লধপুরা খাস গ্রামটি ‘সেরা পর্যটন গ্রামে’ প্রবেশের জন্য নির্বাচিত হওয়া আমাদের সকলের জন্য গর্বের মুহূর্ত। এমপি পর্যটনের পুরো দলের জন্য আমার শুভ কামনা থাকল। আপনারা আপনাদের এই ভাল কাজ চালিয়ে যান।”
A moment of pride for us all as Madhya Pradesh’s village Ladhpura Khas has been selected for entry to the @UNWTO ‘Best Tourism Village’.
My best wishes to the whole team of @MPTourism and administration on this achievement. Keep up the good work!
— Shivraj Singh Chouhan (@ChouhanShivraj) September 10, 2021
মেঘালয়ের কংথং গ্রাম পূর্ব খাসি পাহাড়ে অবস্থিত এবং এটি হুইসলিং গ্রাম নামেও পরিচিত। এটি সম্ভবত জিংরওয়াই লৌবেই এর ঐতিহ্যের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়। যেখানে মা জন্মের পর একটি শিশুকে একটি সুর বা লোরি শোনায়। এই সুরগুলোই আগামী দিনে শিশুর পরিচয় হয়ে ওঠে। এই রীতির জন্য খুব স্বাভাবিক কারণেই এটি বিশ্বের দরবারে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এখানকার গ্রামবাসীরা সুরের মাধ্যমে কথা বলে থাকে। অদ্ভুত না? কিন্তু, ওনাদের কাছে বিষয়টা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
তেলেঙ্গানার পোচামপল্লি গ্রাম হায়দ্রাবাদ থেকে কয়েক ঘণ্টা দূরে অবস্থিত। কখনও কখনও একে ভারতের ইকাত রাজধানী বলেও গণ্য করা হয়। গ্রামটি নলগন্ডা জেলায় অবস্থিত এবং ইকাত শাড়ির জন্য বিখ্যাত। গ্রামটি নান্দনিকভাবে পরিকল্পিত মাটির ঘর দিয়ে ভর্তি। এই গ্রাম পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখা যেতে পারে। এই গ্রামের শিল্পীদের সঙ্গে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। অনন্য সাধারণ ইকাত শাড়ির ডিজাইনের সাক্ষীও হতে পারেন চাইলে।
মনোনয়নের কথা বলতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ পর্যটন ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান সচিব শেও শেখর শুক্লা বলেন আগামী পাঁচ বছরে গ্রামীণ পর্যটনের দৃষ্টিকোণ থেকে ১০০ টি গ্রাম গড়ে তোলা হবে। খুব তাড়াতাড়িই উপযুক্ত স্থানগুলি বেছে নেওয়া হবে। তারপর সেগুলোকে পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে রয়েছে অর্ছা, খাজুরাহো, মান্ডু, সাঁচি, পচমহি, তামিয়া, বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, সঞ্জয় দুবরি জাতীয় উদ্যান, পঞ্চ এবং কানহা জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: গা ছমছম অনুভূতি পেতে চান? কার্শিয়াংয়ের এই জায়গার ব্যাপারে জেনে নিন
আরও পড়ুন: এবার কেরালা থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হল!
আরও পড়ুন: ১ অক্টোবর থেকে আপনি ব্যাংকক ঘুরতে যেতে পারবেন, কিন্তু এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে…