শীতের সকালে পাতে পড়ুক গরম গরম ফুলকপির পরোটা
বাঙালির শীতকাল এর চেয়ে ভাল কী আর হতে পারে। বাজারে এখন তাজা ফুলকপির ছড়াছড়ি। আর শীতকাল মানেই তেলেভাজার প্রতি আলাদা প্রেম। আর এ ব্যাপারে পরোটা হল প্রথম প্রেম। পরোটার সঙ্গে যদি ফুলকপি মিশে যায় তাহলে তো কথাই নেই।

ঠান্ডায় লেপ মুড়ি দিয়ে আলস্য আর ব্রেকফাস্টে গরম ধোঁয়া ওঠা ফুলকপির পরোটা—বাঙালির শীতকাল এর চেয়ে ভাল কী আর হতে পারে। বাজারে এখন তাজা ফুলকপির ছড়াছড়ি। আর শীতকাল মানেই তেলেভাজার প্রতি আলাদা প্রেম। আর এ ব্যাপারে পরোটা হল প্রথম প্রেম। পরোটার সঙ্গে যদি ফুলকপি মিশে যায় তাহলে তো কথাই নেই।
তবে ফুলকপির পরোটা বানাতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খান। কারও অভিযোগ, বেলতে গেলেই পুর ফেটে বেরিয়ে যায়, আবার কারও পরোটা ঠিকমতো খাস্তা হয় না। আজ আমাদের এই প্রতিবেদনে রইল একদম ধাবা স্টাইল ফুলকপির পরোটা বানানোর সহজ ও নিখুঁত পদ্ধতি।
যা যা লাগবে—
পরোটা সুস্বাদু করতে উপকরণের সঠিক মাপ খুব জরুরি। এক নজরে দেখে নিন কী কী লাগবে:
ডো বা মণ্ড তৈরির জন্য:
আটা বা ময়দা: ২ কাপ (স্বাস্থ্যসচেতন হলে আটাই শ্রেয়)
নুন: স্বাদমতো
সাদা তেল বা ঘি: ১ চামচ (ময়ামের জন্য)
জল: পরিমাণমতো
পুর তৈরির জন্য:
ফুলকপি: ১টি (মাঝারি আকারের)
আদা কুচি: ১ চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি: স্বাদমতো
ধনেপাতা কুচি: এক মুঠো
জোয়ান: ১/২ চা চামচ (হজমের জন্য ও স্বাদের জন্য জরুরি)
গোটা জিরে: ১/২ চা চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
আমচুর পাউডার বা চাট মশলা: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদমতো
ভাজার জন্য: সাদা তেল বা ঘি
এভাবে তৈরি করুন—
১. ফুলকপি প্রস্তুতকরণ (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ): প্রথমে ফুলকপি ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার গ্রেটার দিয়ে ফুলকপি মিহি করে গ্রেট করে নিতে হবে (বড় টুকরো যেন না থাকে)। গ্রেট করা কপিতে সামান্য নুন মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে কপি থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাবে। এরপর একটি সুতির কাপড়ে বা হাতের চাপে চিপে সেই জল ফেলে দিন। এই ধাপটি না করলে পরোটা বেলার সময় ফেটে যেতে পারে।
২. মশলাদার পুর তৈরি: কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে জিরে ও হিং ফোঁড়ন দিন। এবার গ্রেট করা ও জল ঝরানো কপি দিয়ে দিন। একে একে আদা কুচি, কাঁচালঙ্কা, লঙ্কার গুঁড়ো, গরম মশলা ও আমচুর পাউডার দিয়ে মাঝারি আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই, শুধু কাঁচা গন্ধটা চলে গেলেই হবে। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ও সামান্য জোয়ান মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটি থালায় ছড়িয়ে সম্পূর্ণ ঠান্ডা হতে দিন। গরম অবস্থায় পুর ভরবেন না।
৩. মণ্ড তৈরি ও পুর ভরা: আটা বা ময়দায় নুন ও তেল দিয়ে মেখে একটি নরম ডো তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, সাধারণ রুটির চেয়ে এই ডো সামান্য নরম হতে হবে। ডো থেকে মাঝারি সাইজের লেচি কেটে বাটির মতো গর্ত করে নিন। মাঝখানে পরিমাণমতো পুর দিয়ে মুখটা ভালো করে বন্ধ করে দিন।
৪. বেলা ও ভাজা: পুর ভরা লেচি শুকনো আটা ছড়িয়ে আলতো হাতে বেলে নিন। খুব বেশি চাপ দেবেন না। তাওয়া গরম করে প্রথমে পরোটা শুকনো খোলায় এপিঠ-ওপিঠ সেঁকে নিন। এরপর চারপাশ দিয়ে ঘি বা তেল ছড়িয়ে লালচে ও মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিন।
