Bangla News Photo gallery First physical relation then marriage know all about strange tradition of muria tribe of chattisgarh
Unknown Facts: আগে শারীরিক সম্পর্ক পরে বিয়ে, ভারতের এই গ্রামে বহুদিন ধরেই প্রচলিত ‘লিভ ইন’
Unknown Facts: যদি একসঙ্গে থাকার পরে দুজন সব দিক থেকে সন্তুষ্ট হয়, তবেই একে অপরকে বিয়ে করে, না হলে অন্য কোনও সঙ্গী খুঁজে নেয়। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার গোন্ড এবং মুরিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলন আছে এই প্রথা।
1 / 9
ভারতেই এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে যুবক-যুবতী বিয়ে করার আগে একত্রে বাস করেন। শুধু তাই নয় শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হন। তারপরেই বিয়ে করেন দুজনে। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি।
2 / 9
মেট্রো সিটি যেমন মুম্বই, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো শহরে লিভ ইন এখন খুবই সাধারণ একটা বিষয়। যাঁকে ভালোবাসেন, যাঁর হাত সারাটা জীবন কাটাতে চান, আদৌ আপনার কম্পাটিবিলিটি ম্যাচ করছে কি না, সেটা মানসিক হোক আর শারীরিক হোক তা যাচাই করে নেওয়াই আসল উদ্দেশ্য।
3 / 9
যদিও এই সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বলে দেগে দেন অনেকে। এমনকি বহু পুরনো মানসিকতার মানুষ লিভ ইন সম্পর্কে অন্যায় বলে মনে করেন। তবে আপনি কি জানেন এটা কিন্তু কেবল পশ্চিমী ধারা নয়। ভারতের এক গ্রামে বিয়ের আগে একত্রে বাস করেন যুবক-যুবতী। লিপ্ত হয় শারীরিক সম্পর্কেও।
4 / 9
যদি একসঙ্গে থাকার পরে দুজন সব দিক থেকে সন্তুষ্ট হয়, তবেই একে অপরকে বিয়ে করে, না হলে অন্য কোনও সঙ্গী খুঁজে নেয়। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার গোন্ড এবং মুরিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলন আছে এই প্রথা।
5 / 9
এই প্রথা প্রায় উৎসবের মতো করেই পালন করা হয়, দুই উপজাতির মধ্যে। যুবক-যুবতীর একসঙ্গে থাকার জন্য গড়ে দেওয়া হয় বিশেষ বাড়ি। গ্রামের ছেলেরা তাঁর পছন্দের মহিলাকে প্রপোজ করতে পারেন। যুবক-যুবতীরা নিজেরদের পছন্দের মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারেন।
6 / 9
যে বাড়িতে যুবক-যুবতীরা এক সঙ্গে বাস করেন তাকে 'ঘোটুল' বলে। ঘোটুল হল বাঁশ বা মাটির তৈরি একটি কুঁড়েঘর। মুড়িয়াদের বিশ্বাস, তাঁদের দেবতা লিঙ্গো পেন প্রথম এই প্রথার শুরু করেন। তিনিই যুবক-যুবতীদের জন্য এই 'ঘোটুল' বানিয়ে দেন।
7 / 9
প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাজের শেষে এই 'ঘোটুলে', আনন্দে মেতে ওঠে যুবক-যুবতীরা। অন্তরঙ্গভাবে নাচ, গানের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করে। রাত আরও বাড়লে ক্রমে জুটি বেঁধে নিজেদের ঘরে প্রবেশ করে যুবক-যুবতীরা। মেতে ওঠে ভালোবাসায়।
8 / 9
মেলামেশার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে যদি কোনও যুগল একে অপরকে বিয়ে করতে সম্মত হয়, তখন যুবক তাঁর সঙ্গিনীর চুলে একটি ফুল গুঁজে দেন। এরপর ছেলেটি মেয়েটির পরিবারকে মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদান করেন, যাতে ওই পরিবারের কেউ আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন না হয়।
9 / 9
এমনকি কোনও মহিলা যদি না চাইতেও গর্ভবতী হয়ে পড়ে তাহলে তাঁকে সমাজ থেকে বঞ্চিত করা হয় না। বরং তাঁর যত্ন নেওয়ার জন্য বিশেষ নিয়ম রয়েছে। আসলে এই সম্প্রদায়ের মানুষের ধারণা, যৌনতা সম্পর্কিত ভুল ধারণা দূর করতে এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা কমাতে এই প্রথা গুরুত্বপূর্ণ। বহুকাল ধরেই সেখানে চলে আসছে এই প্রথা।