ভুল খাদ্যাভ্যাসের জেরে বাড়ে কোলেস্টেরল। আর এখান থেকে তৈরি হয় লিভার ও হার্টের সমস্যা। দেখা দেয় ফ্যাটি লিভার, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ।
কোলেস্টেরল হল এক ধরনের চর্বিযুক্ত পদার্থ যা রক্তনালীতে জমা হয় এবং রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। তাই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ওজনও বাড়ে। পায়ে খিঁচুনি দেখা দেয়। এছাড়া বুকে চাপ লাগা, একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
কোলেস্টেরল ধরা পড়লে এবং অবস্থার বাড়াবাড়ি হলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হয়।
বাইরের ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হয়। পাশাপাশি মদ্যপান ও ধূমপান ত্যাগ করতে হয়। এছাড়া ৩ ধরনের খাবার ডায়েটে রাখা আবশ্যিক।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে ডায়েটে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। আঁশযুক্ত খাবার হিসেবে সিরিয়াল, ওটস, বাজরা, বার্লি, ডালিয়া খেতে পারেন। এছাড়া সবজিও রাখুন রোজের পাতে।
পেকটিন সমৃদ্ধ ফল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। পেকটিন হল এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার যা সহজেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি ও সাইট্রাস ফল খেতে পারেন।
কোলেস্টেরলের রোগীদের ডায়েটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। সামুদ্রিক মাছ, আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো খাবারে এই পুষ্টি পাওয়া যায়।