কোভিডের পর বর্তমানে নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে চাঁদিপুরা ভাইরাস। ইতিমধ্যে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ শিশুর। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও অনেকে
বর্তমানে দেশের চারটি রাজ্যে চাঁদিপুরা ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত রাজ্য হল, গুজরাট। মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশই গুজরাটের
মূলত, মাছি, মশা এবং পোকা-মাকড় থেকে চাঁদিপুরা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। কোন ধরনের মাছি, মশার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সে বিষয়ে একটি ধারণা মিলেছে
সম্প্রতি চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত এক কিশোরীর বাড়িতে ১৯টি মাছির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি ৪টি বালুমাছি পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে
চাঁদিপুরা একটি আরএনএ ভাইরাস, যা স্ত্রী ফ্লোবোটোমিন মাছি থেকে ছড়ায়। মশাও এই ভাইরাসের বাহক হতে পারে এবং মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে
চাঁদিপুরা ভাইরাসের বাহক যে মাছি, সেটা মূলত আর্দ্র এলাকায় থাকে। ফলে সংক্রমণ ঘরের ভিতরেও হতে পারে। এই মাছি মাটির বাড়ি বা প্লাস্টার না করার বাড়ির দেওয়ালের ফাটলে থাকে। বাড়ির ভিতরের দেওয়ালের ফাটলেও থাকতে পারে
চাঁদিপুরা ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য বর্তমানে কোনও ভ্যাকসিন নেই। কেবল সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং উপসর্গের ভিত্তিতে রোগীর চিকিৎসা করা হয়
চাঁদিপুরা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাছি-মশার হাত থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। বাইরে খেলাধূলা করতে গেলেও ফুলহাতা জামা-প্যান্ট পরতে হবে। বাড়িতেও মাছি, মশা তাড়াতে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে