সায়ম কৃষ্ণ দেব
Dec 10, 2024 | 8:00 AM
শীতের মরসুম মানেই ভারি মজা। খাওয়া দাওয়া, পিকনিক, ঘুরতে যাওয়া লেগেই আছে। তবে শীতকাল মানেই সবার কাছে যে আনন্দের এমনটা মোটেই নয়। বিশেষ করে যাঁদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাঁদের কাছে এই সময় খুবই কষ্টের। তাপমাত্রার পারদ কমার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে বাতের ব্যথাও।
একেবারে কাবু করে দেয় সেই ব্যথা। এমনকি অনেক সময় হাত-পা নাড়াটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথাও বেড়ে যায় অনেকের। তবে কেন এমনটা হয়? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে সাইনোভিয়াল ফ্লুয়িডের ঘনত্বের পরিবর্তনের কারণেই প্রধানত বাতের ব্যথা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এই ফ্লুয়িড জয়েন্টে জয়েন্টে মসৃণভাবে হাড়ের পরিচালনা করতে সাহায্য করে। আসলে জয়েন্টে লুব্রিকেন্ট হিসাবে কাজ করে এই সাইনোভিয়াল তরল। কিন্তু এই তরল ঘন হয়ে গেলে হাড় সঞ্চালনে কষ্ট হয়, ব্যথা বাড়ে। হাত-পা নাড়াতেও কষ্ট হয়।
শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকে। গায়েও সূর্যের আলো কম লাগে। যা শরীরে ভিটামিন ডি স্তরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কম ভিটামিন ডি ইমিউন সিস্টেমেও প্রভাব ফেলে। ফলে গায়ে ব্যথা, সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ার মতো নানা সমস্যা দেখা যায়। কী ভাবে শীতের সময় বশে রাখবেন বাতের ব্যথা? রইল ৪ টিপস।
শীতকালে বাতের ব্যথার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে তার সবচেয়ে সহজ উপায় হল নিজের শরীরকে গরম রাখা। খুব বেশি ঠান্ডা পড়লে ঘরে রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। এই সময় উলের পোশাক পরা, গরম জলে স্নান করার মতো নিয়ম মেনে চলুন।
বাতের ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখাটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া অপরিহার্য। শীতকালে এমনিতে জল তেষ্টা কম পায়। তাই বলে জল কম খেলে কিন্তু হবে না। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে জয়েন্টগুলি লুব্রিকেট থাকে। ফলে ব্যথা কম হয়।
শীতকালে হাত-পা অবশ হয়ে গেলে বা জয়েন্ট স্টিফ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে হালকা ব্যয়াম করতে পারেন। হাঁটতে কষ্ট হলে যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং করতে পারেন। বা বাড়িতে হালকা হালকা ব্যয়াম করতে পারেন।
শীতকালে শরীরের সূর্যের আলো খুব কম লাগে। ফলে ভিটামিন ডি-এর একটি ভাল উৎস থেকে আমরা বঞ্চিত হই। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলে ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময় শরীর যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই হিসাবে ডায়েট বেছে নিতে হবে।