শুধু যে চায়ে চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই আপনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন, এমন নয়। বিভিন্ন উপায়ে রোজ চিনি খাওয়া হয়। কখনও রসগোল্লা-সন্দেশ, আবার কখনও তরকারিতেও চিনি দিয়ে দেন।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে চিনি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এমন কাজ করাও উচিত নয়। অনেক সময় সুগার ফল্ট হলে মিষ্টি খাবারই কাজে আসে।
যে সব খাবারে চিনির পরিমাণ বেশি, সেগুলো একেবারেই অত্যধিক পরিমাণে খাওয়া যাবে না। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার হলে এড়িয়ে চলাই ভাল।
যে সব পানীয়তে চিনি থাকে, অর্থাৎ কোল্ড ড্রিংক্স, সেগুলো সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। কৃত্রিম চিনি কিন্তু ডায়াবেটিস, ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
জীবন থেকে সম্পূর্ণরূপে চিনি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। বাদ দেওয়ার দরকার নেই। শুধু চিনির পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন। চিনি খাওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। সেটা মেনে চলুন।
সারাদিনে কে কতটুকু চিনি গ্রহণ করবেন, তার নির্ভর করছে আপনার জীবনযাপন ও শারীরিক পরিস্থিতির উপর। যেহেতু চিনিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি, তাই বুঝেশুনে চিনি খেতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্ম করার জন্য, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে গেলে ক্যালোরি দরকার। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি দরকার, তার ১০ শতাংশ চিনি থেকে পেলেই হবে।
আপনার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে আপনি প্রতিদিন ক'চামচ চিনি খাবেন। তবে, ৩-৫ চামচের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। এতে স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।