দুধের উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই জানা। আর যখন দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দেন, তখন এর উপকারিতা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। প্রাচীনকাল থেকে ভারতে এই হলুদ দুধের ধারণা চলে আসছে।
হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের সক্রিয় যৌগ রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। যখনই আপনি হলুদ মেশানো দুধ পান করেন, এটি অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে শরীরকে ক্ষয়ের হাত রক্ষা করে। পাশাপাশি ক্যানসার কোষ গঠনে প্রতিরোধ করে।
দুধ যেখানে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি'তে পরিপূর্ণ। সেখানে হলুদের কারকিউমিন যৌগ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। দুধ ও হলুদের যুগলবন্দী হাড়ের ব্যথা, গাঁটের যন্ত্রণা, পেশির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। মজবুত হাড় গঠনের জন্য এই পানীয় একান্ত জরুরি।
ঘন ঘন হজমের গন্ডগোলে ভুগলে অবশ্যই হলুদ মেশানো দুধ পান করুন। হলুদ মেশানো দুধ আপনাকে গ্যাস, পেট ফোলা, বুক জ্বালা, ডায়ারিয়া এবং পেটের আলসার থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। অবশ্যই এক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ পান করতে হবে।
মহিলাদের দেহে বিশেষ উপকারিতা প্রদান করে এই হলুদ মেশানো দুধ। হলুদ মেশানো দুধ প্রজনন স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং হরমোনের তারতম্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।
একটু আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন? হলুদ মেশানো দুধ আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই পানীয়ের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান রয়েছে। এটি গলার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এক্ষেত্রে গরম দুধ পান করবেন।
দিনে এক কাপ হলুদ মেশানো দুধ পান করলে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আর রাতে যদি হলুদ মেশানো দুধ পান করলে ঘুমোতে যান, তাহলে আপনার অনিদ্রার সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যাবে।
দুধ জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে এতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, দারুচিনির গুঁড়ো এবং এক চিমটে কেশর ফেলে দিন। এরপর ড্রাই ফ্রুটসের কুচি মিশিয়ে পান করুন হলুদ মেশানো দুধ। কিন্তু এই দুধে ভুলেও চিনি যোগ করবেন না।