Blackout: ব্ল্যাক আউট হওয়ার আগেই জোগাড় করে রাখুন এই সব গ্যাজেট! সুরক্ষিত থাকবেন আপনিই
Blackout: সেনা থেকে প্রশাসন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী সকল সাধারণ মানুষকে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো খবরে বিশ্বাস না করে বারবার বলা হয়েছে সজাগ থাকতে। ব্ল্যাক আউটের সময় বিশেষ ভাবে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এমন কিছু গ্যাজেট আছে যা এই সময়ে আপনাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে পারে।
রাত হলেই কাপুরুষের মতো এগিয়ে আসছে পাকিস্তান। রাতের অন্ধকারে প্রতিদিন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর চলছে আঘাতের চেষ্টা। সূর্য ডুবলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ব্ল্যাক আউট। সাইরেনের আওয়াজ আর সেনার বুটের শব্দ সঙ্গে অকাল দীপাবলি। অবশ্য ভারতীয় সেনার বীরত্বে প্রায় সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তানের।
সেনা থেকে প্রশাসন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী সকল সাধারণ মানুষকে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো খবরে বিশ্বাস না করে বারবার বলা হয়েছে সজাগ থাকতে। ব্ল্যাক আউটের সময় বিশেষ ভাবে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এমন কিছু গ্যাজেট আছে যা এই সময়ে আপনাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করতে পারে।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক: পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে, সতর্কতা শুনতে, অথবা বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে সাহায্য চাইতে চাইলে প্রতিটি বাড়িতে একটি সৌর বিদ্যুৎ ব্যাঙ্ক বা মাল্টি-ডিভাইস চার্জিং পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকা উচিত।
পোর্টেবল সৌর বা ব্যাটারি চালিত LED টর্চ: ব্ল্যাকআউটের ক্ষেত্রে অন্ধকার থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, দীর্ঘস্থায়ী LED টর্চ বা সৌর-ভিত্তিক আলো ব্যবস্থা আপনার জন্য খুবই কার্যকর। একটি পোর্টেবল LED টর্চ এমন হওয়া উচিত যা চার্জ করে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যবহার করা যায়। আজকাল, কিছু টর্চে সাইরেন এবং পাওয়ার ব্যাঙ্কের বৈশিষ্ট্যও থাকে যা জরুরি পরিস্থিতিতে খুবই কার্যকর। ব্যাটারি চালিত টর্চ সহ অতিরিক্ত ব্যাটারির মজুদ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
এফএম রেডিও: মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলেও, ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও এবং টিভি কাজ না করলেও, আপনি এফএম রেডিওতে সরকারের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন। একটি বহনযোগ্য ব্যাটারি বা সৌরশক্তিচালিত রেডিও থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু রেডিওতে মোবাইল চার্জিং সুবিধাও থাকে।
ডিজিটাল থার্মোমিটার এবং রক্তচাপ মনিটর: যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে যখন ডাক্তার বা হাসপাতালে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, তখন একজনের মৌলিক স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। এর জন্য, প্রতিটি বাড়িতে একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার এবং রক্তচাপ মনিটর থাকা উচিত, বিশেষ করে যদি বাড়িতে বয়স্ক বা অসুস্থ সদস্য থাকে। এই গ্যাজেটগুলি আপনাকে রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে ধরতে সাহায্য করে এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নির্ধারণে সহায়তা করে। যদি আপনার বাড়িতে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের রোগী থাকে, তাহলে একটি গ্লুকোমিটারও রাখুন।
পকেট ওয়াই-ফাই: ব্ল্যাকআউটের সময়, দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আপনার বাড়ির ওয়াই-ফাই অকেজো হয়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, একটি পকেট ওয়াই-ফাই রাখুন। এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, বাড়ির সবাই একটি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে ফোনের ব্যাটারি কম ব্যবহৃত হয়। ফোনের ব্যাটারি সাশ্রয় করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
রিচার্জেবল মিনি ফ্যান: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আলো এবং পাখা বন্ধ থাকায় ব্ল্যাকআউটের সময় ঘুমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু যদি ব্ল্যাকআউট দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে আপনার বাড়িতে একটি রিচার্জেবল মিনি ফ্যান কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এর ফলে, ব্ল্যাকআউট শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে গরমে কষ্ট পেতে হবে না।
