হাতের তালুতে এই ৪টি চিহ্ন থাকলে নতুন বছরে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না!
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, মানুষের শরীরের গঠন এবং হাতের রেখায় লুকিয়ে থাকে তাঁর সৌভাগ্যের রহস্য। হস্তরেখাবিদদের মতে, আপনার হাতের তালুতে এমন কিছু বিশেষ চিহ্ন থাকতে পারে, যা ইঙ্গিত দেয় যে আপনি অত্যন্ত ভাগ্যবান এবং জীবনে প্রভূত ধন-সম্পত্তির অধিকারী হবেন।

পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি—একথা ঠিক হলেও, অনেকেই মনে করেন ভাগ্যের সহায়তা ছাড়া চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছনো কঠিন। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, মানুষের শরীরের গঠন এবং হাতের রেখায় লুকিয়ে থাকে তাঁর সৌভাগ্যের রহস্য। হস্তরেখাবিদদের মতে, আপনার হাতের তালুতে এমন কিছু বিশেষ চিহ্ন থাকতে পারে, যা ইঙ্গিত দেয় যে আপনি অত্যন্ত ভাগ্যবান এবং জীবনে প্রভূত ধন-সম্পত্তির অধিকারী হবেন।
হস্তরেখাবিদ্যা অনুযায়ী কোন সেই ৪টি শক্তিশালী চিহ্ন?
১. ‘M’ চিহ্ন: নেতৃত্ব ও সাফল্যের প্রতীক হাতের প্রধান তিনটি রেখা—জীবনরেখা (Life Line), মস্তিস্করেখা (Head Line) এবং হৃদয়রেখা (Heart Line) যদি মিলে গিয়ে তালুর ঠিক মাঝখানে ইংরেজি ‘M’ অক্ষরের মতো আকৃতি তৈরি করে, তবে তাকে অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, যাঁদের হাতে এই চিহ্ন থাকে তাঁরা জন্মগতভাবেই প্রতিভাবান এবং অসাধারণ নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এঁরা খুব দ্রুত অন্যের মনের কথা বুঝতে পারেন এবং কর্মজীবনে প্রচুর উন্নতি করেন।
২. মৎস্য বা মাছের চিহ্ন (Fish Sign) বিলাসিতা ও অর্থপ্রাপ্তির অন্যতম সেরা সংকেত হলো তালুর নিচের দিকে (বিশেষ করে কেতু পর্বত বা মণিবন্ধের কাছে) থাকা মাছের মতো রেখা। হস্তরেখাবিদ্যা অনুযায়ী, যাঁদের হাতে এই চিহ্ন থাকে, তাঁদের জীবনে অর্থের অভাব হয় না। এঁরা সাধারণত দানশীল প্রকৃতির হন এবং সমাজের কাছে সম্মান ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। বিশেষ করে মাঝবয়সের পর থেকে এঁদের সৌভাগ্য প্রবলভাবে কাজ করে।
৩. বৃহস্পতির পর্বতে ‘ক্রস’ (Cross on Jupiter Mount) তর্জনী বা ইণ্ডেক্স ফিঙ্গারের ঠিক নিচে থাকা অংশটিকে বলা হয় বৃহস্পতির পর্বত। এখানে যদি একটি স্পষ্ট ছোট গুণচিহ্ন বা ‘ক্রস’ থাকে, তবে তা পরম সৌভাগ্যের লক্ষণ। শাস্ত্র মতে, বৃহস্পতি জ্ঞান ও বিবাহের কারক। এই স্থানে ক্রস থাকার অর্থ হলো ওই ব্যক্তি অত্যন্ত সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাবেন এবং বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জীবনে প্রচুর সম্পদ অর্জন করবেন।
৪. ধন ত্রিভুজ (Money Triangle) মস্তিস্করেখা, ভাগ্যরেখা এবং বুধরেখা (Health/Mercury line) যদি মিলে গিয়ে তালুর মাঝখানে একটি আবদ্ধ ত্রিভুজ তৈরি করে, তবে তাকে ‘ধন ত্রিভুজ’ বা ‘মানি ট্রায়াঙ্গেল’ বলা হয়। হস্তরেখাবিদদের দাবি, এই চিহ্ন নির্দেশ করে যে ওই ব্যক্তি কেবল অর্থ উপার্জনই করবেন না, বরং সেই অর্থ সঠিকভাবে সঞ্চয়ও করতে পারবেন। এঁরা সাধারণত বড় ব্যবসায়ী বা নামী পেশাদার হয়ে ওঠেন।
জ্যোতিষীরা মনে করেন, হাতের রেখা সময়ের সাথে সাথে কর্মভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই কেবল রেখার ওপর ভরসা না করে কর্মে বিশ্বাস রাখাই প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ। রেখা যদি অস্পষ্ট হয় বা অন্য রেখা দ্বারা কাটা থাকে, তবে তার প্রভাব কিছুটা কম হতে পারে।
