কলকাতা: ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করলে একাধিক ক্রিকেটারের জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে যায়। পিছিয়ে নেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগও। ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট টিমে ক্রিকেটার এনে দেওয়ার সাপ্লাই লাইন বলা হয়ে থাকে আইপিএলকে। এ বার উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগকেও বলা হচ্ছে মেয়েদের ভারতীয় ক্রিকেট টিমে ক্রিকেটার এনে দেওয়ার সাপ্লাই লাইন। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু হওয়ার পর প্রথম বার আইসিসি মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) মুখে শোনা গেল ডব্লিউপিএলের (WPL) কথা।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিম এখনও অবধি টি-২০ বিশ্বকাপ জেতেনি। এ বার সেই অধরা মাধুরী লাভের লক্ষ্যে নামবেন হ্যারিরা। সেখানে ভারতীয় টিমে রয়েছেন ডব্লিউপিএলে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যেমন – আশা শোভানা। আরসিবির প্লেয়ার তিনি। বছরের পর বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন, কিন্তু উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩ ওভারে ২টো উইকেট নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁর মতো সাজনা সঞ্জীবন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে উঠে এসেছেন । শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের উত্থানও আরসিবি থেকে। এই ক্রিকেটাররা ডব্লিউপিএলের মঞ্চে নজর কেড়েছিলেন, এ বার জাতীয় দলের জার্সিতে ফুল ফোটানোর পালা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ডট কম এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে হরমবপ্রীত কৌরকে জিজ্ঞাসা করে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের অবদান কতখানি? হরমনপ্রীত কৌর বলেন, ‘ডব্লিউপিএল আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। পুরুষদের ক্রিকেটে যেমন আইপিএল। এই লিগটার জন্য আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম। সকল মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য ওই মঞ্চটা অসাধারণ। ডব্লিউপিএল দারুণ একটা প্ল্যাটফর্ম এবং প্রচুর ভারতীয় প্রতিভা এর মাধ্যমে উঠে আসছে। ডব্লিউপিএলে খেলতে আমি বেশ ভালোবাসি। ব্যক্তিগত ভাবেও যদি বলি, এই লিগটার জন্য আমি অনেক দিন অপেক্ষা করেছি। আর এখন সেখানে খেলতে পেরেছি। আমি বেশ উপভোগ করি ওখানে খেলা।’
মাঠে ক্যাপ্টেন হ্যারি বেশ আগ্রাসী। এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক। আলাদা কিছুই নয়। আমার আগ্রাসী মেজাজটা স্বাভাবিক। আমি এটাকে নিয়েই এগিয়ে যাই। যখনই মাঠে থাকি, আমি দেখতে চাই আমার দল জিতছে। এই মানসিকতা নিয়েই আমি খেলতে নামি।’
ভারতীয় দলের সবচেয়ে বিনোদন প্রদানকারী সদস্য কি জেমাইমা রডরিগজ? এই প্রশ্নের উত্তরে হরমনপ্রীত বলেন, ‘হ্যাঁ। ও দলের প্রাণভোমরা। বরাবর হাসি খুশি থাকে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাও খুব উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত রাখে। ও দলের প্রত্যেকের মুখে হাসি ফোটায়। ওর মতো প্লেয়ার দলে থাকা খুব ভালো। টিমে এবং ড্রেসিংরুমে ও এনার্জি ছড়িয়ে দেয়।’
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হরমনপ্রীত কৌর বলেন, ‘এর আগে এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। আর এখন তা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। পরিবেশ কঠিন হতে চলেছে। আমি সেই অনুযায়ী কম্বিনেশন বাছাই করব।’