প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৫০ রানেই অলআউট। স্বাভাবিক ভাবেই টার্গেট ছিল অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত অলআউট করা। পেসারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত ব্যবধানে খেই হারাতে থাকে। প্রথম দিনই অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট নিয়েছিল ভারত। লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত অলআউট করা। পারথে দ্বিতীয় দিন উইকেট নিয়ে স্পেল শুরু করেন জসপ্রীত বুমরা। কিছুক্ষণের ব্যবধানে নাথান লিয়ঁকে ফেরান হর্ষিত রানা। ৭৯ রানে নবম উইকেট নেওয়ার পর অপেক্ষা অলআউটের। কিন্তু ঋষভ পন্থের ক্যাচ মিস বিরক্তি বাড়ায়।
অস্ট্রেলিয়া সে সময় ৮৬ রানে। বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা। মিচেল স্টার্কের আউট সাইড এজ উইকেটের পিছনে। যদিও ক্যাচ মিস ঋষভ পন্থের। ঠান্ডা মাথার জসপ্রীত বুমরাও বিরক্ত হয়ে যান। ভারতের দুর্দান্ত একটা সুযোগ নষ্ট হয়। মিচেল স্টার্ক-হ্যাজলউডের শেষ উইকেট জুটি ক্রমশ ভারতের বিরক্তি বাড়ায়। রান যে প্রচুর উঠছিল তা নয়। তবে লো-স্কোরিং ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে প্রতিটা রানই বোনাস হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে হর্ষিত রানার সৌজন্যেই ব্রেক থ্রু।
শেষ উইকেটে ১১০ বলে ২৮ রানের পার্টনারশিপ মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের। ক্যাচ মিসের পর আরও দুর্দান্ত খেলছিলেন স্টার্ক। ক্রিজে দুই বাঁ হাতি থাকায় ওয়াশিংটন সুন্দরকে দিয়েও জুটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। স্টার্ক ১১২ বলে ২৬ রান করেন। দিনের দ্বিতীয় স্পেলে প্রথম ডেলিভারি হাফভলি। তাতে সিঙ্গল নিয়ে স্টার্ককে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন হ্যাজলউড।
বড় শট খেলে লাঞ্চের আগে আরও কিছুটা রান তুলতে চেয়েছিলেন স্টার্ক। যদিও বল হাওয়ায় ওঠে। ঋষভ পন্থই সেই স্কাই ক্যাচ নেন। ১০৪ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের লিড, ভারত আপাতত অ্যাডভান্টেজেই। উইকেট পড়ায় লাঞ্চ ব্রেকও ঘোষণা হয়। বুমরা ফাইফার, অভিষেক ম্যাচে নামা হর্ষিত ৩ উইকেট এবং সিরাজ ২ উইকেট নেন।