ভারতীয় ক্রিকেটে আপাতত আলোচনায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ক্যাচ! ওয়াংখেড়েতে প্রচণ্ড গরম, মাঠে পড়েছে গ্যালারির ছায়া। তার মধ্যে হাই ক্যাচ নেওয়া! বলে সারাক্ষণ চোখ রেখে, ১৯ মিটার দৌড়নো এবং দুর্দান্ত ক্যাচ। স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা চলছে। দিনের খেলা শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কথা বলছিলেন অশ্বিন। ধারাভাষ্যকার দীনেশ কার্তিক। দিনের খেলা নিয়ে প্রশ্ন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই দীনেশ কার্তিককে পাল্টা খোঁচা অশ্বিনের। দুই সতীর্থের মজাও বলা যায়। কী বলছেন অশ্বিন?
কম বক্স থেকে শুরুতেই অশ্বিনকে দুর্দান্ত ক্যাচের জন্য প্রশংসায় মাতিয়ে দেন দীনেশ কার্তিক। অশ্বিন দ্রুতই বলেন, ‘তোমরা সারাজীবন আমার নামে শুধু অপবাদ দিয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় না, খুব বেশি ক্যাচ মিস করেছি।’ দু-জনেই হেসে ওঠেন। অশ্বিন আজকের ক্যাচটি প্রসঙ্গে যোগ করেন, ‘যতটা সম্ভব বলের খুব কাছাকাছি পৌঁছতে চেয়েছিলাম। আমার হাতের উপর ভরসা ছিল।’
ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে ওঠা গ্লেন ফিলিপসকে ক্যারম বলে বোল্ড করেন অশ্বিন। সম্প্রতি তাঁকে খুব বেশি ক্যারম বল করতে দেখা যায়নি। সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ম্যাচটা যেন দু-ভাগ হয়েছে। প্যাভিলিয়ন এবং ড্রেসিংরুম প্রান্ত। দু-দিক থেকে বোলারদের জন্য আলাদা সাহায্য। ড্রেসিংরুম প্রান্ত থেকে বোলিং করলে তুলনামূলক ফ্ল্যাট পিচ পাচ্ছিলাম। সে কারণে অন্য প্রান্ত বেছে নিই। ব্যাটারকে আলাদা কিছু দিতে চেয়েছিলাম।’
এখনও অবধি যা পরিস্থিতি, ভারতকে অন্তত ১৪৪ রান তাড়া করতে হবে। তৃতীয় দিন শেষ উইকেটে নিউজিল্যান্ড আর কত রান যোগ করতে পারবে, সেটাই প্রশ্ন। কতটা টার্গেট হলে ভালো হয়? অশ্বিন বলেন, ‘এই ইনিংসে যত রান বাঁচানো যায় সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে টার্গেট তাড়া করা খুবই কঠিন। এই রানটুকু তুলতেও ভালো ব্যাট করতে হবে। পুনের পিচ থেকে এখানে মূল পার্থক্য, গতি কম। মুম্বই পিচ সাধারণত এতটা স্লো হয় না। যদিও বাউন্স তুলনামূলক বেশি।’