টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রিঙ্কু সিংয়ে তাঁর ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করায় সেভাবে বড় স্কোরের সুযোগও পাচ্ছিলেন না। শ্রীলঙ্কায় ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দেওয়া হলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রিঙ্কু। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে নামারই প্রয়োজন পড়েনি রিঙ্কু সিংয়ের। অবশেষে চেনা ছন্দে পকেট রকেট। ঠান্ডা মাথায় বিধ্বংসী ব্যাটিং।
টপ অর্ডার শুরুটা ভালো করলেও দীর্ঘমেয়াদী হল না। রিঙ্কু ক্রিজে আসার সুযোগ পান অনেক আগেই। প্রচুর সময়। মনসংযোগ বাড়ালেন। দিল্লির অরুণ জেটলি হাইস্কোরিং গ্রাউন্ড। কিন্তু স্লোয়ারে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। রিঙ্কু সিং বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস খেলেন। প্রয়োজনে যেমন সিঙ্গল-ডাবল নিয়েছেন, সুযোগ পেলেই ঝড় তুলেছেন। ২৭ বলে জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পেরিয়ে যান নীতীশ রেড্ডি ও রিঙ্কু সিং। ১০ ওভারেই একশো পেরিয়ে যায় ভারত। দ্রুতই এই জুটি সেঞ্চুরিও পেরোয়।
নীতীশ আউট হতেই রিঙ্কুর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। গত ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন হার্দিক। রিঙ্কুর সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন। রিঙ্কু সিং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করলেন। তবে স্লগ ওভারে পর পর উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ২০০ পেরিয়ে গেলেও আরও অনেক রান যোগ করতে পারত হার্দিক ক্রিজে থাকলে। ১৯ বলে ৩২ রানে ফেরেন হার্দিক। অর্শদীপ সিং একটি ছয় মেরেই আউট। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে ভারত।