টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরই জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল নীতীশ রেড্ডিকে। আইপিএলের গত সংস্করণে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু চোটের জন্য জিম্বাবোয়েতে যাওয়া হয়নি নীতীশ রেড্ডির। শ্রীলঙ্কা সফরে সিনিয়ররা ফেরায় জায়গা হয়নি তাঁর। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টানা ম্যাচ থাকায় টি-টোয়েন্টিতে কার্যত আলাদা স্কোয়াড বেছে নিয়েছে ভারত। নীতীশ কুমার রেড্ডি প্রথম বার নীল জার্সিতে। গোয়ালিয়রে অভিষেক, দিল্লিতে দাপট।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে তিন আনক্যাপড ছিল ভারতের। গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় নীতীশ কুমার রেড্ডি ও এক্সপ্রেস গতির পেসার মায়াঙ্ক যাদবের। প্রথম ম্যাচে সেই অর্থে খুব বেশি সুযোগ পাননি। সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। ব্যাট হাতে অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলেছিলেন। তবে কেরিয়ারের আন্তর্জাতিক অভিষেকেই চার নম্বরে পাঠিয়ে টিম যে ভরসা দেখিয়েছিল, তার দাম দিলেন নীতীশ কুমারও।
দিল্লিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার সেই অর্থে ভরসা দিতে পারেননি। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেন। শুরুতে মন্থর ছিলেন। একটা সময় তাঁর রান ছিল ১৩ বলে ১৩! কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে নামা বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লা রিয়াধের একটি নো বলই যেন সব বদলে দিল। ফ্রি-হিটে বিশাল ছয় মেরে হাত খোলার শুরু। এরপর তাণ্ডব শুরু। ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন নীতীশ। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ, প্রথম হাফসেঞ্চুরি।
ব্যক্তিগত মাইলস্টোন নয়, টিমের জন্য় যত বেশি রান তোলাতেই নজর ছিল। হাফসেঞ্চুরির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। তবে বড় শট খেলতে গিয়েই উইকেট খোয়াতে হল। মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে বড় শট খেলতে গেলেও গতিতে হার মানেন। বল অনেকটাই উঁচুতে ওঠে। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস নীতীশ রেড্ডির।