মহেন্দ্র সিং ধোনির সাফল্যের নেপথ্যে যে নারীর বড় ‘ভূমিকা’ রয়েছে…
Mahendra Singh Dhoni: রিল লাইফ থেকে এ বার রিয়াল লাইফে আসা যাক। মহেন্দ্র সিং ধোনির কেরিয়ারে মায়ের পাশাপাশি 'সৌভাগ্য' বয়ে এনেছিলেন তাঁর স্ত্রী সাক্ষীও। সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন ধোনি। এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি ট্রফিই তাঁর দখলে। তবে এ তো গেল সফল ধোনির কথা! সাফল্য পাওয়ার পথ যে একেবারেই মসৃণ ছিল না। আর সেই সময় মায়ের পাশাপাশি আরও একজনের কথা বলতে হয়।
কলকাতা: ভূমিকা চাওলা আসলে কার ‘ভূমিকা’য় ছিলেন? কথা হচ্ছে, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক নিয়ে। মহেন্দ্র সিং ধোনির দিদির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ভূমিকা। স্কুলে যে মাহি ফুটবলে গোলকিপিং পছন্দ করতেন, তিনিই ভালো বেসে ফেলেন ক্রিকেটকে। সেটাই হয়ে ওঠে তাঁর ধ্যান জ্ঞান। খুব কাছের মানুষের সমর্থন ছাড়া এতটা সফর সম্ভব নয়। ধোনির বায়োপিকে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন তাঁর দিদি। আমরা প্রত্যেকেই বলে থাকি, প্রত্যেকটা সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর হাত থাকে। উল্টোটাও বলা যায়। আবার সঙ্গে এটাও ভুললে চলবে না, শুধু একজন নারীই নয়, অনেকেরই অবদান থাকে। সেটা যে কোনও রূপেই হতে পারে। কখনও মা কিংবা মেয়ে, স্ত্রী, দিদি-বোন। মাহির ক্রিকেট কেরিয়ারে তাঁর দিদিরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। তাঁর সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রিল লাইফ থেকে এ বার রিয়াল লাইফে আসা যাক। মহেন্দ্র সিং ধোনির কেরিয়ারে মায়ের পাশাপাশি ‘সৌভাগ্য’ বয়ে এনেছিলেন তাঁর স্ত্রী সাক্ষীও। সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন ধোনি। এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি ট্রফিই তাঁর দখলে। তবে এ তো গেল সফল ধোনির কথা! সাফল্য পাওয়ার পথ যে একেবারেই মসৃণ ছিল না। আর সেই সময় মায়ের পাশাপাশি আরও একজনের কথা বলতে হয়।
মহেন্দ্র সিং ধোনির এক দিদিও রয়েছেন। যাঁর নাম জয়ন্তী গুপ্তা। মাহির স্বপ্নটা জানতেন। হয়তো উপলব্ধি করতে পারতেন না। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মে বড় স্বপ্ন দেখা এবং তা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। মাহির ক্ষেত্রেও তাই ছিল। রেলওয়েতে টিসির চাকরি করা তারই একটা অংশ। ধীরে ধীরে ফের ক্রিকেটে পুরোপুরি ফোকাস। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
কেরিয়ারের এবং জীবনের শুরুর দিকে মাহির অন্যতম অবলম্বন ছিলেন দিদি জয়ন্তী। ক্রিকেট যে কেরিয়ার হতে পারে, আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে, একটা সময় অবধি কোনও উঠতি ক্রিকেটারই সেই ভরসা পেয়ে থাকেন না। মাহির বাবা পান সিং ধোনিও তাই এই সিদ্ধান্তে একমত ছিলেন না। জয়ন্তী কিন্তু ভাইয়ের পাশে থেকেছেন, তাঁকে প্রেরণা দিয়েছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার। তেমনই আর্থিক দিক থেকেও অনেক এগিয়ে। তাঁর দিদি জয়ন্তী এখনও মধ্যবিত্ত জীবনেই সন্তুষ্ট। রাঁচির একটি বেসরকারি স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক জয়ন্তী। ভাইয়ের সাফল্যে দিদি সে ভাবে প্রকাশ্যে আসেন না। আসতে চানও না হয়তো। ব্যক্তিগত জীবন, ব্যক্তিগতই থাকা শ্রেয়!