ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে তাঁকে প্রথম সুযোগ দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু পরিচিতি দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সল্ট থেকে হয়ে উঠেছিলেন অনেকের ‘সল্ট’দা। কলকাতা তাঁকে আপন করে নিয়েছিল। তেমনই ফিল সল্টও কলকাতাকে ভীষণ ভাবে নিজের বানিয়ে নিয়েছিলেন। এ বার মেগা অকশনে প্রতিটি টিমেরই ঘর ভেঙেছে। দলে বড়সড় রদবদল হয়েছে। চেনা মুখ, অন্য জার্সিতে। এটা সমর্থকদের কাছে শুরুর দিকে কিছুটা কষ্টকর বিষয়ই। আর সেটা যদি নিজেদের টিমের বিরুদ্ধে হয়! কেকেআর সমর্থকদের মধ্যে এমনই পরিস্থিতি।
ইডেনে আইপিএলের বোধনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ফিল সল্ট আবারও ইডেনে ওপেন করতে নামবেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ আরসিবির জার্সিতে। তার আগে একটু গত মরসুমে ফেরা যাক। রহমানুল্লা গুরবাজের মতো পরিক্ষীত ওপেনার ছিলেন কেকেআর স্কোয়াডে। ফিল সল্ট নতুন সদস্য। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেছিলেন। মেন্টর গৌতম গম্ভীর তাঁকেই অগ্রাধিকার দেন। সুনীল নারিনের সঙ্গে নিয়মিত ওপেন করেছিলেন ফিল সল্ট। একের পর এক ধামাকাদার ইনিংস খেলেছিলেন। কিপিংয়েও ভরসা দিয়েছেন।
তার আগের কয়েক মরসুমে কেকেআরের মূল সমস্যা ছিল ওপেনিং কম্পিনেশন। একের পর এক বদল হচ্ছিল। গত বার সেটা হয়নি। সাফল্যও মিলেছে। কিন্তু মেগা অকশনের আগে রিটেনশন নিয়মের কারণে সকলকে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। কেকেআর কোটার ছয় জন প্লেয়ারকেই রিটেন করেছিল। ফিল সল্টকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল। আর গত মরসুমে তিনি যা পারফর্ম করেছিলেন, ছেড়ে দেওয়া মানে যে অকশনে সল্টের জন্য অনেকেই ঝাঁপাবে, পরিষ্কার ছিল। সেটাই হয়েছিল। অবশেষে অকশনে তাঁকে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
কেকেআর যেমন সল্টকে রিটেন করেনি, আরসিবিও রিটেন করেনি ফাফ ডুপ্লেসিকে। বিরাট কোহলির ওপেনিং সঙ্গী বদল হচ্ছে। ফিল সল্টের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন বিরাট। তাঁর মতো ব্যাটার যে কোনও প্রতিপক্ষর কাছেই বিপজ্জনক। সঙ্গে এ বার ফিল সল্টও। আবেগের ইডেন, সতীর্থরাই প্রতিপক্ষ, চেনা সমর্থকরা এখন তাঁর হয়ে গলা ফাটাবেন না। সল্টের কাছে কঠিন পরীক্ষাও।
আইপিএলের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।