ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মেগা অকশনে নানা চমকই দেখা গিয়েছে। ১৩ বছরের বৈভব সূর্যবংশী শিরোনামে এসেছেন। মাত্র ৩০ লক্ষর বেস প্রাইস থেকে তাঁকে ১.১০ কোটিতে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ১৩ বছরেই কোটিপতি! তেমনই বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার টিমই পাননি। আবার অনেক তরুণ ক্রিকেটারের জন্য কোনও এক ফ্র্যাঞ্চাইজি অলআউট ঝাঁপিয়েছে। তেমনই একজন প্রিয়াংশ আর্য। তাঁর বেস প্রাইস ছিল মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা। প্রীতি-পন্টিংয়ের পঞ্জাব কিংস প্রিয়াংশকে নিতে এতটাই মরিয়া ছিলেন যে প্রায় চার কোটি দিয়ে কিনলেন। তাঁকে ৩.৮০ কোটিতে নিয়েছে পঞ্জাব। এরপরই আলোচনায় প্রিয়াংশ।
ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অন্যতম সাপ্লাই লাইন আইপিএল। অনেক ক্রিকেটারই আইপিএল থেকেই উঠে এসেছেন। পরবর্তীতে শুধু টি-টোয়েন্টিই নয়, তিন ফরম্যাটেই ভারতের ভরসা হয়ে উঠেছেন। নতুন প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় আইপিএলের মঞ্চ। প্রিয়াংশের মধ্যেও কি আগামীর সুপারস্টার খুঁজে পেয়েছেন পন্টিংরা? শুধু তাঁরাই কেন! প্রিয়াংশকে নিতে চেষ্টা করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং আরসিবিও। প্রিয়াংশের সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
এ বছরই শুরু হয়েছে দিল্লির ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। ঋষভ পন্থও ছিলেন টুর্নামেন্টে। সেই টুর্নামেন্টে ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন প্রিয়াংশ। সাউথ দিল্লি সুপারস্টার্জের হয়ে নেমে অগস্টে এই কীর্তি প্রিয়াংশের। শুধু তাই নয়, পুরো টুর্নামেন্টে ৬০৮ রান করেছেন এই ওপেনার। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৩০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস, এরপর ৫১ বলে ৮২। এমন কিছু বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন দিল্লি প্রিমিয়ার লিগে।
প্রিয়াংশ প্রথম শিরোনামে এসেছিলেন বলা যায়, ডিপিএলে নর্থ দিল্লি স্ট্রাইকার্সের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছিল সাউথ দিল্লি সুপারস্টার্জ। সেই ম্যাচে ৫০ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন প্রিয়াংশ। টুর্নামেন্টে ৬০৮ রান করেছেন প্রায় ২০০ স্ট্রাইকরেটে! গড় প্রায় ৬৮। দশ ইনিংসে মেরেছেন ৪৩টি ছয়। আইপিএল অকশনে তাঁকে নিতে লড়াইয়ের এটাই যে অন্যতম কারণ, বলাই যায়।