উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা স্পিন বোলিং খেলতে পারছেন না! শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের পারফরম্যান্সে এমন প্রশ্নই উঠছে। আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠছে বিরাট কোহলিকে নিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দেশের হয়ে এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন বিরাট কোহলিও। বাকি দুই ফরম্যাটে মনসংযোগ করবেন। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আয়োজক পাকিস্তান। যদিও ভারতীয় টিম সেখানে খেলতে যাবে না। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হাইব্রিড মডেলে হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে এশিয়া কাপের মতো শ্রীলঙ্কায়ই ভারতের ম্যাচ পড়ার। যেখানেই হোক, উপমহাদেশের পিচে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই বিরাট কোহলিকে নিয়ে এত প্রশ্ন।
শ্রীলঙ্কায় প্রথম ওয়ান ডে-তে সেট হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। মনে হচ্ছিল, বড় রানের দিকেই এগচ্ছেন। তবে স্পিনের বিরুদ্ধে যে স্বস্তিতে ছিলেন না, বারবার ধরা পড়ছিল। সেট হয়েও লেগস্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার ডেলিভারিতে আউট হন। আউট হওয়া নিয়ে সমস্যা নয়, তবে বিরাট যে ভাবে ব্যাকফুটে খেলেছিলেন সেই ডেলিভারি, তাতে অস্বস্তি বেড়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও লেগস্পিনার জেফরি ভ্যানডারসেরই শিকার বিরাট কোহলি। লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে বিরাটের দুর্বলতা নতুন নয়। পরপর দু-ম্যাচে লেগ স্পিনারের শিকার হওয়ায় অস্বস্তি বাড়ছে বিরাটকে নিয়ে।
দ্বিতীয় ওয়ান ডে-র পর দেখা যায় সৌজন্য সাক্ষাতের সময় শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী কোচ সনৎ জয়সূর্য আটকান বিরাট কোহলিকে। হাত মেলানোর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে অনেকক্ষণ কথাও বলেন। সেই ভিডিয়ো নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে যায়, শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তির সঙ্গে কী কথা হল বিরাট কোহলির? স্পিনের বিরুদ্ধে খেলার সমস্যা নিয়ে কি আলোচনা হয় তাঁদের? এমন জল্পনাও উঠছে। সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে বুধবার।
জয়সূর্যর সঙ্গে তাঁর কথা নিয়ে আরও একটা আন্দাজও করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত ১১ রানে ব্যাটিংয়ের সময় আকিলা ধনঞ্জয়ের বোলিংয়ে বিরাটকে আউট দিয়েছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার। দ্রুতই রিভিউ নেন বিরাট। টেলিভিশন আম্পায়ার স্নিকোমিটারে স্পাইক দেখেন। বল তখন বিরাটের ব্যাটের পাশে। এরপরই আউটের সিদ্ধান্ত বদল হয়। যদিও শ্রীলঙ্কা শিবির খুশি ছিল না। এমনকি কোচ জয়সূর্যকে দেখা যায় চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গেও কথা বলছেন। হয়তো, সেই বিষয় নিয়েও কথা হতে পারে বিরাট-জয়সূর্যর।