বার্বাডোজ। এ বার ডারবান। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দু-দল। প্রথম বার বিশ্বকাপ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্য দিকে, ভারত ছিল দ্বিতীয় ট্রফির খোঁজে। নতুন চ্যাম্পিয়ন, দ্বিতীয় বার বিশ্বজয়। পার্থক্য ছিল খুবই ক্ষীণ। শেষ দিকে নাটকীয় মোড় নিয়েছিল ম্যাচ। একটা সময় ৩০ বলে ৩০ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সেখান থেকে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। বার্বাডোজের ফাইনালের পর ফের এক বার মুখোমুখি দু-দল। এ বার চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দু-দলে বেশ কিছু বদলও হয়েছে।
সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার স্কোয়াড সাজিয়েছে ভারত। রোহিত, বিরাট, জাডেজা এই ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন। বুমরা টেস্ট স্কোয়াডে। শিবম দুবের চোট। দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াডে নেই কুইন্টন ডি’কক। বাকি সব কার্যত একই। পরিস্থিতি আলাদা। দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে নামছে। সঙ্গে অভিজ্ঞ টিম নিয়ে। খাতায় কলমে প্রোটিয়া দল অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে ভারতের তরুণ ব্রিগেডের ধারাবাহিকতা বড় প্রাপ্তি। বিশ্বকাপের পর জিম্বাবোয়ে, শ্রীলঙ্কা, ঘরে মাঠে বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে ভারত। এ বার টার্গেট দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়ে।
বছর খানেক আগেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল স্কাইয়ের নেতৃত্বাধীন ভারত। দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল। কিন্তু ডারবানে খেলার সুযোগ হয়নি। আবহাওয়া সঙ্গ দেয়নি। টসই করা যায়নি। এ বারও আবহাওয়া বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘আশা করছি এ বার ম্যাচ হবে। অন্তত প্র্যাক্টিস তো করতে পেরেছি। গত বার তো সেটাও পারিনি। তবে বৃষ্টি হবে কিনা, সে তো হাওয়া অফিসই বলতে পারবে।’
সকলের মধ্যে ভারতীয় শিবিরে এই সিরিজে বিশেষ নজর থাকবে রমনদীপ সিংয়ের দিকে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া স্কোয়াডে রয়েছেন। তবে হার্দিকের ফিটনেস বরাবরই চিন্তায় রাখে। বিকল্প হিসেবে নীতীশ কুমার রেড্ডিকে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সিরিজে দেখা হয়েছিল। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির স্কোয়াডে রয়েছেন নীতীশ। রেনবো নেশনে হার্দিকের বিকল্প হিসেবে নতুন মুখ রমনদীপ সিং। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কেকেআর জার্সিতে গত সংস্করণে বিধ্বংসী পারফর্ম করেছেন। সদ্য এমার্জিং এশিয়া কাপে তিন বিভাগেই ভালো পারফর্ম করায় প্রথম বার সিনিয়র দলে সুযোগ। ডারবানেই অভিষেকের সম্ভাবনা প্রবল রমনদীপের।
পেস বোলিং আক্রমণে দুই নতুন মুখ বিজয়কুমার বিশাখ ও যশ দয়াল। তবে অর্শদীপ, আবেশ খান থাকায় বিশাখ ও যশ, কোনও একজনের অভিষেক হতে পারে। অন্য সম্ভাবনাও রয়েছে। কম্বিনেশন নিয়ে একটু অনুমান করা যাক। ওপেনিংয়ে অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন। তিন ও চারে সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। পাঁচে রিঙ্কু সিং। এরপর দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও রমনদীপ সিং ও স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। বোলিং কম্বিনেশনে লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তীর মধ্যে একজন। পেস বোলিংয়ে অর্শদীপ ও বিজয়কুমার বিশাখ অথবা আবেশ খানের মধ্যে একজন। আবেশের সম্ভাবনাই বেশি। অর্শদীপ থাকায় আর এক বাঁ হাতি পেসার যশের সম্ভাবনা কম।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের স্কোয়াড: সূর্যকুমার যাদব (ক্যাপ্টেন), অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিং, তিলক ভার্মা, জীতেশ শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রমনদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, রবি বিষ্ণোই, অর্শদীপ সিং, বিজয়কুমার বিশাখ, আবেশ খান, যশ দয়াল।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম টি-টোয়েন্টি, ভারতীয় সময় রাত ৮.৩০, স্পোর্টস ১৮ ও জিও সিনেমায় সম্প্রচার